বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পড়ার চাপ খুব বেশি (এই নিয়ে দুই অভিভাবকের মধ্যে সংলাপ)

বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পড়ার চাপ খুব বেশি (এই নিয়ে দুই অভিভাবকের মধ্যে সংলাপ)
বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পড়ার চাপ খুব বেশি (এই নিয়ে দুই অভিভাবকের মধ্যে সংলাপ)
শ্যামলীদি: আজকাল তোমায় দেখতেই পাই না। কেন বলো তো।
প্রদীপ্তা : আর বলো না। ছেলেমেয়ে দুটোর স্কুল-টিউশন-নাচ-আঁকা করতে গিয়ে একদম নাজেহাল অবস্থা।
শ্যামলীদি : তা যা বলেছ। ছেলেমেয়েদের প্রতিষ্ঠিত করার এক সামাজিক অক্টোপাস আমাদের সকলকেই যেন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। আমারও অবস্থা তথৈবচ।
প্রদীপ্তা : মাঝেমধ্যেই কেমন দমবন্ধ লাগে। ওদের দেখেও মায়া হয়। প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড় বোধ হয় একেই বলে।
শ্যামলীদি : ব্যাগের বোঝা, মনের ভার কমানোর কত কথাই তো শুনলাম, কিন্তু বাস্তবে এর উলটোটাই ঘটে চলেছে।
প্রদীপ্তা : একদম তাই। তবে শুধু স্কুল বা কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে লাভ নেই। ক্রমাগত এই চাপ বাড়িয়ে যাওয়ার পেছনে আমাদের, মানে, অভিভাবকদের ভূমিকাও কম নয়।
শ্যামলীদি: সে আর বলতে। সবাই বুঝছি, অথচ লেখাপড়া-পরীক্ষা আরও পড়ার এমন বিকারগ্রস্ত প্রক্রিয়াটাকে তো আমরাও জিইয়ে রেখেছি। ওদের মনের স্বতঃস্ফূর্ততার কতটাই বা গুরুত্ব দিই।
প্রদীপ্তা : একে তো অনেক কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারপর নিত্যনতুন সংযোজন, এই শেখাও ওই শেখাও।
শ্যামলীদি: রাতারাতি কোনো জাদুবলে ব্যবস্থাটাকে তো আর সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া যাবে না। কিন্তু ছেলেমেয়েগুলোকে স্বাধীনতা দিতে হবে। ওদের অন্তর্মনের ভাবনাটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে, আর নতুন নতুন ভার চাপিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না।
প্রদীপ্তা : ঠিক বলেছ। অনেকদিন পরে একটু প্রাণ খুলে কথা বলে বেশ ভালো লাগল। আজ চলি তাহলে।
শ্যামলীদি: এসো।

Leave a Comment