প্রিয় লেখক (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ) |
রণিতা : কালকে বই পড়তে পড়তে রাত কাবার হয়ে গেছে জানিস অমৃতা। শেষ না করে ঘুমোতে যেতে পারিনি।
অমৃতা : কি পড়ছিলি বে। সত্যজিৎ রায়-
রণিতা : ঠিক ধরেছিস। ‘বারীনবাবুর বাতিক’, ‘অনাথবাবুর ভয়’, ‘গগন চৌধুরীর স্টুডিও’, ‘ফ্রিৎজ’, ‘ভূতো’-আশ্চর্য সব গল্প।
অমৃতা: সত্যিই, আমিও পড়েছি। এক নিশ্বাসে পড়ার মতো। ‘অনুকুল’, ‘লোডশেডিং’, ‘অঙ্কস্যার’, ‘গোলাপিবাবু ও টিপু’, ‘ক্লাসফ্রেন্ড’, ‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’, ‘বন্ধুবাবুর বন্ধু’ -একেকটা এক-এক রকম। অথচ প্রত্যেকটা মনে ছাপ ফেলে যায়।
রণিতা: সেটাই ভাবছিলাম রে, আমরা ফেলুদা আর শঙ্কুর কথা বলি, কিন্তু এইসব গল্পগুলো-
অমৃতা : সত্যিকারের বড়ো লেখককে এভাবেই চেনা যায়। গোয়েন্দাকাহিনি কিংবা কল্পবিজ্ঞানের গল্প যে মুন্সিয়ানায় লিখেছেন, ঠিক সেভাবেই কতো বিচিত্র স্বাদের গল্প লিখে গেছেন।
রণিতা: ভয়-বন্ধুত্ব-মানবিকতা-অ্যালিয়েন কিংবা অতিপ্রাকৃত, বিভিন্নভাবে মানুষের জীবনকে নানা কৌশলে ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
অমৃতা : সেইসঙ্গে ভাষার কথাটাও বল। কেমন ঝরঝরে সুন্দর একটা গল্প বলার ঢং-
রণিতা : ভীষণ প্রাণবন্ত। তাই তো আমার সবচেয়ে প্রিয়।
অমৃতা : আমারও।