প্রবল বৃষ্টির দিনে দূরভাষে (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

প্রবল বৃষ্টির দিনে দূরভাষে (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
প্রবল বৃষ্টির দিনে দূরভাষে (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
মধু: হ্যালো, হ্যালো কে? মানবী? শুনতে পাচ্ছিস?
মানবী : হ্যাঁ কে? মধু, বল, কী করছিস আজকের দিনে?
মধু: কী আর করব বল, সকাল থেকে যেভাবে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হয়ে চলেছে, আর সঙ্গে প্রবল হাওয়া, ভালো লাগছে না।
মানবী: আমার কিন্তু এই রকমের দিন ভীষণ ভালো লাগে। তাই এখন আমি গুটিসুটি হয়ে জানালার ধারে বসে গরম গরম তেলেভাজা আর চা খাচ্ছি।
মধু: দূর, যেভাবে চারিদিক কালো হয়ে আছে, আমার মনে হচ্ছে এই বৃষ্টি থামতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাবে। 
মানবী: উদ্‌, তাহলে তো আরও মজা। মা নিশ্চই খিচুড়ি আর আলুভাজা বানাবে। ভাবলেই আমি আবেগপূর্ণ হয়ে পড়ছি।
মধু : আসলে কী বলত, আমার বাড়ির সামনে বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়, সন্ধ্যাবেলায় বাবার অফিস থেকে বাড়ি আসতে একটু অসুবিধা হয়। তা ছাড়া আমার একদম এই বিষণ্ণতা ভালো লাগে না। 
মানবী: তবে আমার এই মেঘাবৃত আকাশ, নির্জন পথঘাট, অবিশ্রান্ত বৃষ্টি বেশ লাগে রে, আমার এখন গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করছে ওই গানটা- ‘বাদল-বাউল বাজায় রে একতারা/সারা বেলা ধরে ঝরোঝরো ঝরো ধারা’।
মধু: আচ্ছা শোন মা ডাকছে মনে হয় ছাদে যাবে বলে ছাতা চাইছে। এখন রাখি পরে কথা হবে। মানবী: আচ্ছা ঠিক আছে।

Leave a Comment