পুজোর ছুটি (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ) |
সোমা: সামনেই তো পুজোর ছুটি পড়বে, কী করবি? কোথাও যাবি? আমি এবার কোথাও যাব না।
রাজু: নারে আমিও যাব না। সামনেই দিদির উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সেজন্যই এবার আর কোথাও যাওয়া হবে না।
সোমা: যখন স্কুল খোলা থাকে তখন মাঝেমধ্যে মনে হয় একটা ছুটি পেলে ভালো হত। এবার যখন সেই ছুটিই একটা লম্বা দাঁড়ি নিয়ে আসতে যাচ্ছে তখন আর ভালোলাগছে না।
রাজু: ঠিক বলেছিস। জানিস বিদিশা, দেবু, বুবি-এরা সবাই কোথাও না কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে।
সোমা: তবে কী জানিস আমাদের বাড়ির সামনেই পুজো হয়। সেটি নিয়ে আমরা সবাই ব্যস্ত থাকি, দারুণ মজা হয়। তুইও চলে আয়। তুই তো ভালো গান জানিস। আমাদের নিজেদের মধ্যে যে অনুষ্ঠানটি হয় সেখানে তুইও যোগদান করতে পারবি।
রাজু: দেখা যাক কী হয়। আসলে বাবা আমাকে পুজোর সময় কোথাও একা ছাড়তে চান না। তবে একদিন অবশ্যই আসব। আমার অনেকদিনের। ইচ্ছা কাছ থেকে পুজো দেখার।
সোমা: ছুটি বিষয়টাই আমার কাছে এইরকম। কোথাও বেড়াতে গেলে তবেই ভালো লাগে, নয়তো যেন দিন ফুরাতেই চায় না। কোনো ব্যস্ততাই থাকে না।
রাজু: চল এবার ক্লাসরুমের দিকে যাওয়া যাক। সন্দীপনদার বাংলা ক্লাস নিতে আসার সময় হয়ে গেল, এবার ওঠা যাক।