পরীক্ষার ক্ষেত্রে অসদুপায় রোধ প্রসঙ্গে ছাত্র- শিক্ষকের কাল্পনিক সংলাপ |
শিক্ষক: কালের অমোঘ নিয়মে তোমাদের পরীক্ষায় অবলম্বিত অসদুপায়গুলির মাত্রাগত বর্ধন তথা উন্নয়ন ঘটছে, তাই না বিক্রম?
বিক্রম: এই ধরনের লজ্জাজনক কথা বলবেন না, মাস্টারমশাই।
শিক্ষক: তোমরা যখন এই ধরনের কাজগুলো করো তখন তো এই দ্বিধাবোধ, লজ্জানুভূতি তোমাদের মধ্যে কাজ করে না! এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে কি তোমরা আদৌ লাভবান হও?
বিক্রম: জানি মাস্টারমশাই। যে পরীক্ষা আমাদের ভবিষ্যতের সঠিক দিকনির্দেশ করে সেই পরীক্ষা অসৎভাবে দিয়ে আমরা কখনোই ঠিক কাজ করি না।
শিক্ষক: সবই জানো যখন কেন ভুল সিদ্ধান্তগুলো নাও? তোমরা কেন বোঝো না যে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তোমরা তোমাদের নিজেদেরই ক্ষতি করছ। যা তোমাদের করায়ত্ত নয় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সে বিষয়গুলির সঠিক উত্তর প্রদান করে তোমরা ভালো ফললাভ করছ বা বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তী শ্রেণিতেও পৌঁছে যাচ্ছ, কিন্তু প্রকৃত যে জ্ঞান লাভ তা কি আদৌ তোমাদের হচ্ছে?
বিক্রম: না মাস্টারমশাই, কখনোই না।
শিক্ষক: জীবনের এই প্রারম্ভিক লগ্নেই তোমরা যদি মিথ্যা ছলনা বা প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করতে থাকো তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে তোমরা কোনো কাজই সঠিক পথ অবলম্বন করে করতে পারবে না। লক্ষ্যে তাড়াতাড়ি পৌঁছোনোর স্পৃহায় তোমরা অসৎ পথই অবলম্বন করে যাবে। শুধু তাই নয়, এভাবে তোমরা সকলের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতাও হারাচ্ছ।
বিক্রম: কিন্তু তা কেন হবে মাস্টারমশাই?
শিক্ষক: কেন নয়? তোমরা যেভাবে জীবনের পথে অগ্রসর হচ্ছ তাতে তোমাদের মধ্যে ছলনা বা প্রতারণা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। আর তোমার কি মনে হয় তোমাদের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে জ্ঞাত ব্যক্তি তোমাদেরকে বিশ্বাস করবেন?
বিক্রম: হ্যাঁ, মাস্টারমশাই আমাদের সত্যিই খুব ভুল হয়ে গেছে।
শিক্ষক : বর্তমানই ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করে। তুমি আজ যা কিছু করবে ভবিষ্যতে সেসব কিছুকে সম্পূর্ণ রূপে কখনোই বর্জন করতে পারবে না। তা ছাড়া শিক্ষকদের কাছেও তো তুমি সন্দেহের পাত্র হয়ে উঠবে। ফলে ঈর্ষাবশত কেউ তোমার ওপর দোষারোপ করলেও শিক্ষকরা পূর্বাভিজ্ঞতা স্মরণ করে তোমাকেই ভুল বুঝবেন।
বিক্রম: না স্যার, আর কখনও এমন কুপথ অবলম্বন করব না। ভবিষ্যতে একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার প্রস্তুতি গ্রহণ আমি আজ থেকেই শুরু করব।