দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটি সংলাপ রচনা করো

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটি সংলাপ রচনা করো

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটি সংলাপ রচনা করো।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটি সংলাপ রচনা করো।
সুকল্যাণ: তুই কি বাজার করিস পারিজাত?
পারিজাত: হ্যাঁ, আমিই তো করি। বছর দেড়েক হল বাবা বর্ধমানে ট্রান্সফার হয়ে গেছে। সুতরাং মা তো সব সময় পারে না। তাই আমাকেই যেতে হয়।
সুকল্যাণ: তাহলে নিশ্চয়ই খেয়াল করেছিস, গত কয়েক মাসে সমস্ত জিনিসের দাম কেমন বেড়েছে।
পারিজাত: সত্যি কথা বললে একটু একটু করে বেড়েই চলেছে। তারপর আবার এলাকা আর বাজারের ওপরেও দামের বাড়া-কমা নির্ভর করে।
সুকল্যাণ: ঠিক বলেছিস, আর যতো মুশকিল হচ্ছে ছাপোষা সাধারণ মানুষের-
পারিজাত। তবে কি জানিস বাজার করার ফলে আমি আগের চেয়ে অনেক বুঝতে শিখেছি। কোথায় জিনিসপত্র ভালো পাওয়া যায়, সরকার নির্ধারিত দামের জিনিস কোথায় বিক্রি হয়-এসব আর কি।
সুকল্যাণ: কিছু সুবিধা পাস। তাহলে আমাকেও চিনিয়ে দিস-
পারিজাত দ্যাখ, এখানে তো সরকারি নিয়ন্ত্রণ বলতে তেমন কিছু নেই। তবে কিছু কিছু জায়গায় তুলনামূলক একটু সস্তা পাওয়া যায়। আমি তোকে নিয়ে যাব।
সুকল্যাণ: তবে কি জানিস। চাল-ডাল-তেল-এর মতো নিত্য আহার্য কিছু জিনিসের ব্যাপারে সরকারি হস্তক্ষেপ একান্ত দরকার। না হলে এই গরিব মানুষের দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বড়োই দুর্দশা।
পারিজাত বাস্তবিকতা এটাই। কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার যে কেন এত উদাসীন, সত্যিই বুঝি না।
সুকল্যাণ: অবিলম্বে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির এ-বিষয়ে একসঙ্গে বসে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
পারিজাত: আমি তোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আর সাধারণ মানুষেরও উচিত গণমাধ্যমগুলির সাহায্যে সরকারকে সক্রিয় ও তৎপর হতে বাধ্য করা।

Leave a Comment