ছাত্র ও শিক্ষকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ) |
সোমরাজ: আজ শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে তোর বক্তব্যটা আমার খুব ভালো লেগেছে কৌশিক।
কৌশিক : তাই। নিজের মনের কথাগুলো বলেছি রে।
সোমরাজ: শুধু তোর মনের কথা নয়। আমাদের সকলের। শিক্ষকের সঙ্গে কোনো ছাত্রের সম্পর্কের মূল কথাটা তুই বলে দিয়েছিস। ভালোবাসা-শ্রব্ন্ধা কিংবা দরদের কথা, আর সকলের মতো তুইও বলেছিস। কিন্তু, এক বন্ধুসুলভ পরিণত মনের অভিভাবক হয়ে ওঠার কথাটা এভাবে কেউ বলেনি।
কৌশিক : আসলে কি জানিস, মাস্টারমশাইদের মধ্যে একজন সহৃদয় দাদার প্রতিচ্ছবি আমরা সকলেই খুঁজি। যিনি সমস্যায় পড়লে যেমন পথ দেখাবেন, আবার ক্রমাগত ভুল করলে তেমনই প্রয়োজনীয় শাসনটুকুও করবেন। এ-রকমটা ঘটতে আমি নিজেই দেখেছি।
সোমরাজ: কোথায়?
কৌশিক : আমার এক দাদা শান্তিনিকেতনে পড়ত। ওদের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রদের সম্পর্কের মধ্যে এই ব্যাপারটা দেখতে পেয়েছিলাম। খোলামেলা-আন্তরিক অথচ একটা আশ্চর্য সম্ভ্রমবোধ রয়েছে, যেটা স্বতঃস্ফূর্ত।
সোমরাজ: এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না। আজকের যুগে এটাই বড়ো অভাব। সর্বত্র কেমন একটা দূরত্ব; যেন একটা অদৃশ্য ব্যবধানবোধ।
কৌশিক : ঠিক বলেছিস। তাই আমার মনে হয় শিক্ষক-ছাত্রের মাঝে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ আন্তরিকতার দরকার। যা ভালোবাসা, সম্মান ও পারস্পরিক নির্ভরতা দিয়ে গড়া।।
সোমরাজ: ‘শিক্ষক-ছাত্রের মানবিক সম্পর্কের সেতুটা অর্থবহ আর প্রাণবন্ত না হলে জ্ঞান সম্পূর্ণ হয় না’-তোর বলা এই কথাটা এখনও আমার কানে বাজছে।
কৌশিক : ধন্যবাদ সোমরাজ।