কোন ঋতু সবচেয়ে প্রিয় (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)

কোন ঋতু সবচেয়ে প্রিয় (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
কোন ঋতু সবচেয়ে প্রিয় (এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ)
পলাশ : চল্ সুকান্ত মাঠের দিক থেকে একটু হেঁটে আসি।
সুকান্ত : চল্ যাই। শীতের শিশির মেখে খালি পায়ে হাঁটতে কী ভালো যে লাগে।
পলাশ : শীত তোর খুব প্রিয়, জানি।
সুকান্ত : লোকে শীত বলতে শুধু ঝরা পাতা আর ধূসর বিবর্ণতাই দেখে, কিন্তু শীতের নির্জন কুয়াশা আর শিশিরে মোড়া রহস্যময় প্রকৃতির সৌন্দর্য কী প্রাণবন্ত ঈঙ্গিত পৌঁছে দেয়, সে কথা কেউ বলে না।
পলাশ : সেইসঙ্গে শীতের রাতের কথাও বল। হিম অন্ধকারে ঝাপসা নির্জনতায় যখন সাইকেল চালিয়ে ফিরি- সুকান্ত মৌনমুখর হিমেল রাত, আকাশ প্রদীপ। কেমন এখনই চোখে ভেসে উঠছে।
পলাশ : ঠিক বলেছিস। তবে আমাকে আশ্চর্য করে গরম।
সুকান্ত : মানে, তোর গরমকাল পছন্দ; বলিস কী?
পলাশ: হ্যাঁ রে। একটু অদ্ভূত হলেও সত্যি। লাল আঁচে ভাসমান ফাঁকা মাঠ, স্তব্ধ ছায়ায় ঘেরা গ্রাম আর দিগন্তজোড়া অলস দুপুরের ছবি, এ গরমকাল ছাড়া কখনও খুঁজে পাবি না। 
সুকান্ত : বেশ বলেছিস। শেষ অব্দি, আমরা গরমের দেশের লোক। ঘামে ভেজা শরীর, লু-এর আঁচ কাটিয়ে যখন হঠাৎ একটা ঠান্ডা হাওয়ার মতো মনজুড়ানো ছায়া সুনিবিড় ছোঁয়া খুঁজে পায়, কেমন মায়া পড়ে যায় না?
পলাশ : গরমের ওই রৌদ্র-ছায়াই সারাক্ষণ আমাকে আলোড়িত করে চলে রে সুকান্ত।
সুকান্ত: এবার বুঝেছি। আসলে প্রকৃতির বিচিত্র রূপ-রস-স্পর্শ যে কাকে কীভাবে উদ্বেল করে তোলে, এ একমাত্র সেই টের পায়।

Leave a Comment