উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর |
১। উপসর্গ কাকে বলে?
যে অব্যয় পদ ধাতু বা পদের আদিতে যুক্ত হয়ে পদটির অর্থের পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন শব্দ গঠন করে তাকেই বলে উপসর্গ। যেমন-
উপ্ + কৃ + ঘঞ = উপকার
অপ + কৃ + ঘঞ = অপকার
এই দুটি উদাহরণে ‘উপ’ এবং ‘অপ’ অব্যয় দুটি কৃ-ধাতুর আগে বসে অর্থের পরিবর্তন ঘটিয়ে দুটি নতুন শব্দ ‘উপকার’ ও ‘অপকার’ তৈরি করেছে। এখানে তাই ‘উপ’ আর ‘অপ’কে উপসর্গ বলা হয়।
২। রবীন্দ্রনাথ কোন্ গ্রন্থে উপসর্গের সংজ্ঞা দিয়েছেন?
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘বাংলা ভাষা পরিচয়’ নামক গ্রন্থে উপসর্গের সংজ্ঞা দিয়েছেন।
৩। উপসর্গ শব্দ নয় কেন?
উপসর্গ ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে তাকেই অবলম্বন করে নানা অর্থ সৃষ্টি করে। তাই উপসর্গ শব্দ নয়।
৪। উপসর্গ হতে গেলে অব্যয়কে কী করতে হবে?
উপসর্গ হতে গেলে অব্যয়কে ধাতুর পূর্বে যুক্ত হতে হবে।
৫। উপসর্গের কাজ কী?
উপসর্গ শব্দ বা ধাতুর আগে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করে।
৬। “নতুন শব্দ তৈরি করবার বেলায় তাদের নইলে চলে না”-রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য অনুযায়ী ‘তাদের’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
রবীন্দ্রনাথ ‘তাদের’ বলতে শব্দগঠনের অপরিহার্য উপাদান উপসর্গ ও প্রত্যয়কে বুঝিয়েছেন।
৭। বাংলা উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী?
বাংলা উপসর্গ তিন প্রকার। যথা- সংস্কৃত উপসর্গ, দেশি বা বাংলা উপসর্গ, বিদেশি উপসর্গ।