অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গের অপর নাম কি? অনুসর্গ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর

সূচিপত্র

অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গের অপর নাম কি? অনুসর্গ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর
অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গের অপর নাম কি? অনুসর্গ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর

অনুসর্গ কাকে বলে?

যে সমস্ত অব্যয় পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে কখনও বিভক্তির কাজ করে, কখনও বিভক্তির সঙ্গে এক হয়ে পূর্বপদের কারকের অর্থ প্রকাশ করে, কখনও তুলনা বা সাদৃশ্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, তাদের অনুসর্গ বা পরসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে।

২। অনুসর্গকে অপর কী কী নামে চিহ্নিত করা হয়?

অনুসর্গকে ‘পরসর্গ’ বা ‘কর্মপ্রবচনীয়’ নামেও চিহ্নিত করা হয়।

৩। বাংলা অনুসর্গকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

বাংলা অনুসর্গকে দুইভাগে ভাগ করা যায়- নাম অনুসর্গ ও ক্রিয়া অনুসর্গ।

৪। নাম অনুসর্গ কাকে বলে?

বিশেষ্য, বিশেষণ, অব্যয় পদ সৃষ্ট অনুসর্গকে নাম অনুসর্গ বা শব্দজাত অনুসর্গ বলে।

৫৫। নাম অনুসর্গের কটি ভাগ ও কী কী?

নাম অনুসর্গের তিনটি ভাগ। যথা- তৎসম, তদ্ভব ও দেশি, বিদেশি।

৬ । নাম অনুসর্গের অন্তর্গত তৎসম অনুসর্গের উদাহরণ দাও।

নিকট, নিমিত্ত ইত্যাদি হল নাম অনুসর্গের অন্তর্গত তৎসম অনুসর্গের উদাহরণ।

৭। তদ্ভব ও দেশি অনুসর্গ কোগুলি?

মাঝ, ভিতর, বই, ছাড়া, কাছে, তরে, পানে, পাশে, বিনা, সাথে, সামনে ইত্যাদি হল তদ্ভব ও দেশি অনুসর্গ।

৮। বিদেশি অনুসর্গ কোগুলি?

বিদেশি অনুসর্গ হল-দরুন, বনাম, বাবদ, হুজুর ইত্যাদি।

৯। ক্রিয়াজাত অনুসর্গ কাকে বলে?

যে অসমাপিকা ক্রিয়া বিভিন্ন অর্থে অনুসর্গরূপে ব্যবহৃত হয়, তাদের ক্রিয়া অনুসর্গ বা ক্রিয়াজাত অনুসর্গ বলে।

১০। উপসর্গ ও অনুসর্গের মিল দেখাও।

এরা দুজনেই অব্যয় পদ। দুজনেই শব্দার্থ পরিবর্তন বা সুনির্দিষ্ট করে।

১১ উপসর্গ ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখো।

উপসর্গ পদ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়। অনুসর্গ পদের পরে যুক্ত হয়।

১২। বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি মিল দেখাও।

বিভক্তি ও অনুসর্গ দুটিই কারকের অর্থ প্রকাশের জন্য কাজ করে।

১৩। বিভক্তি ও অনুসর্গের অমিল দেখাও।

বিভক্তির স্বতন্ত্র প্রয়োগ নেই। অনুসর্গের আছে। বিভক্তি শব্দের সঙ্গে একাঙ্গ হয়ে যায়। অনুসর্গ শব্দ থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শব্দের পরে বসে। বিভক্তি একাক্ষর, অনুসর্গ অনেকাক্ষর। বিভক্তি সমসময় শব্দের পরেই যুক্ত হয়। অনুসর্গ ক্ষেত্রবিশেষে শব্দের আগেও বসে।

১৪। অনুসর্গ ও নির্দেশকের মিল দেখাও।

অনুসর্গ ও নির্দেশক (সংখ্যাবাচক পরিমাণবাচক বিশেষণ যুক্ত হয়ে) মাঝে মাঝে স্বতন্ত্রভাবে শব্দের আগে বসে।

১৫। অনুসর্গ ও নির্দেশকের অমিল দেখাও।

অনুসর্গের স্বাতন্ত্র্য আছে। নির্দেশক বিভক্তির মতোই শব্দের সঙ্গে জুড়ে যায়। নির্দেশক বিভক্তিযুক্ত হয়, অনুসর্গে বিভক্তির প্রয়োগ বিরল। যেমন- ‘কলমখানির কী অবস্থা করেছে?’ ‘কলম-খানি (নির্দেশক)-‘র’ বিভক্তি।

১৬ । বিভিন্ন কারকে অনুসর্গের ব্যবহার দেখাও।

কর্তৃকারক: রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক গীতাঞ্জলি রচিত।
নিমিত্ত কর্মকারক: পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি, এ জীবন মন সকলি দাও।
করণ কারক: গুরু কন তুই শুরু করেছিস তলোয়ার দিয়ে দাড়িচাচা। অপাদান কারক: আজি হতে শতবর্ষ পরে কে বসি পড়িছ আমার লেখনি।
অধিকরণ কারক: বাঁশি বাজে হৃদয় মাঝে।

১৭। কোন্ কারকে অনুসর্গের ব্যবহার নেই?

কর্মকারকে অনুসর্গের ব্যবহার নেই।

Leave a Comment