নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো? গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো। একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশগুলি দেখাও।

নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো? গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো। একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশগুলি দেখাও।
নিরপেক্ষ বচন বলতে কী বোঝো? গুণ ও পরিমাণ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো। একটি উদাহরণ দিয়ে নিরপেক্ষ বচনের অংশগুলি দেখাও।

নিরপেক্ষ বচন: 

যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের সম্বন্ধ কোনো শর্তের উপর নির্ভর করে না, তাকে নিরপেক্ষ বচন বলা হয়। যেমন- পৃথিবী হয় একটি গ্রহ।

গুণ ও পরিমাণের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ বা নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা: 

গুণ ও পরিমাণের সংযুক্ত নীতির ভিত্তিতে অ্যারিস্টটল নিরপেক্ষ বচনকে যে চারভাগে ভাগ করেছেন, তাদের একত্রে নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা বলা হয়। এই বিভাগ অনুসারে চারটি নিরপেক্ষ বচন হল- (১) সামান্য সদর্থক বচন (A), (২) সামান্য নঞর্থক বচন (E), (৩) বিশেষ সদর্থক বচন (1), (৪) বিশেষ নঞর্থক বচন (০)।

(১) সামান্য সদর্থক বচন (A): 

সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব- বচনটিতে ‘মানুষ’ পদের দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণির সকল সদস্যকে নির্দেশ করায় বচনটি সামান্য বা সার্বিক পরিমাণের দিক থেকে। বচনটিতে মানুষ সম্পর্কে মরণশীলতাকে স্বীকার করায় বচনের গুণটি সদর্থক।

(২) সামান্য নঞর্থক বচন (E): 

কোনো মানুষ নয় অমর- বচনটিতে ‘মানুষ’ পদের দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণির সকল সদস্যকে নির্দেশ করায় বচনটির পরিমাণ সার্বিক। বচনটিতে মানুষ সম্পর্কে অমরত্বকে অস্বীকার করায় বচনটির গুণ নঞর্থক।

(৩) বিশেষ সদর্থক বচন (1) 

কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ- বচনটিতে ‘মানুষ’ পদের দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণির সকল সদস্যকে না বুঝিয়ে তার একটা অংশকে বোঝানোর বচনের পরিমাণ বিশেষ। কোনো কোনো মানুষ সম্পর্কে সততাকে স্বীকার করায় বচনটির গুণটি সদর্থক।

(৪) বিশেষ নঞর্থক বচন (O): 

কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ-বচনটিতে ‘মানুষ’ পদের দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণির সকল সদস্যকে না বুঝিয়ে তার একটা অংশমাত্রকে বোঝানোর বচনটির পরিমাণ বিশেষ। কোনো কোনো মানুষ সম্পর্কে সততাকে অস্বীকার করায় বচনটির গুণ নঞর্থক।

নিরপেক্ষ বচনের অংশ: 

সকল টিয়াপাখি হয় সবুজ – এই নিরপেক্ষ বচনটির চারটি অংশ হল- পরিমাণক (সকল), উদ্দেশ্য (টিয়াপাখি), সংযোজক (হয়) এবং বিধেয় (সবুজ)।

Leave a Comment