নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে? এর বিভিন্ন অংশ বা উপাদানগুলি উদাহরণসহ লেখো।

নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে? এর বিভিন্ন অংশ বা উপাদানগুলি উদাহরণসহ লেখো।
নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে? এর বিভিন্ন অংশ বা উপাদানগুলি উদাহরণসহ লেখো।

নিরপেক্ষ বচন: 

যে বচনে শর্ত-নিরপেক্ষ উক্তি করা হয় অর্থাৎ উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের সম্বন্ধ যেখানে প্রবল বা প্রচ্ছন্নভাবে কোনো শর্তের উপর নির্ভর করে না, তাকে বলে নিরপেক্ষ বচন।
যেমন সকল মানুষ হয় স্বার্থপর (A) -এই বচনে ‘মানুষ’ পদের দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণির সকল সদস্য সম্পর্কে স্বার্থপরতাকে স্বীকার করা হয়েছে এবং এই স্বীকৃতি কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল ন।।

নিরপেক্ষ বচনের বিভিন্ন অংশ :

নিরপেক্ষ বচনের চারটি অংশ: পরিমাণক, উদ্দেশ্য, সংযোজক ও বিধেয়।

পরিমাণক:

প্রতিটি আদর্শ আকারের নিরপেক্ষ বচন ‘সকল’, ‘কোনো’, ‘কোনো কোনো’ প্রভৃতি শব্দ বা শব্দগুচ্ছের কোনো একটির দ্বারা শুরু হয়। এই শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বচনের পরিমাণ নির্দেশ করে। এই পরিমাণ নির্দেশক শব্দগুলিকেই পরিমাণক বলে।

উদ্দেশ্য: 

প্রতিটি বচনে যার সম্বন্ধে অর্থাৎ যে পদ সম্বন্ধে কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে।

সংযোজক: 

সংযোজক প্রতিটি বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপনকারী একটি চিহ্ন বা সংকেতসূচক শব্দ।

বিধেয়: 

প্রতিটি নিরপেক্ষ বচনে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যাকে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাকে বলে বিধেয় পদ।

নীচে উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা করা হল :

কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ
উপরোক্ত বচনটিতে ‘কোনো কোনো’ শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্য পদের দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণির পরিমাণকে নির্দেশ করা হয়।
উদ্দেশ্য ‘মানুষ’ পদটি সম্বন্ধে বিধেয় ‘সৎ’-কে স্বীকার করা হয়েছে।
সংযোজক ‘হয়’ উদ্দেশ্য ‘মানুষ’ ও বিধেয় ‘সৎ’-এর মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপনকারী সদর্থক বা স্বীকৃতিসূচক শব্দ।
বিধেয় ‘সৎ’ উদ্দেশ্য ‘মানুষ’ সম্বন্ধে স্বীকৃত হয়েছে।

Leave a Comment