আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব লেখো

আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব

আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব লেখো।
আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব লেখো।
থার্মোস্ফিয়ারের নীচের আয়নিত স্তরকে আয়নোস্ফিয়ার বলে। এখানে অতিবেগুনি রশ্মি, এক্স রশ্মি, গামা রশ্মি, রঞ্জন রশ্মি ইত্যাদি তড়িদাহত হয়ে আয়নিত অবস্থায় থাকে।

আয়নোস্ফিয়ারের গুরুত্ব

(ক) আয়নোস্ফিয়ারে দুটি উল্লেখযোগ্য উপস্তর লক্ষকরা যায় (i) কেনেলি – হেভিসাইড স্তর বা “E” স্তর এবং (ii) অ্যাপল্টন স্তর বা “F” স্তর। কেনেলি-হেভিসাইড স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে 90 130 কিমি উচ্চতায় অবস্থান করছে। এই স্তরটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের বেতারতরঙ্গগুলিকে আয়নোস্ফিয়ার ভেদ করে ওপরে যেতে বাধা দেয়। ফলে ওই তরঙ্গদৈর্ঘ্যগুলি পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের কেন্দ্রগুলিতে বেতার সংযোগ রক্ষা করে।
(খ) আয়নমণ্ডলের “E” স্তর ও “F” স্তর মিলিতভাবে সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত ক্ষতিকারক স্বল্প দৈর্ঘ্যের তরঙ্গগুলিকে শোষণ করতে পারে।
(গ) এই স্তরে উপস্থিত অসংখ্য ধনাত্মক ও ঋণাত্মক তড়িগ্রস্ত কণা তাদের চৌম্বক বিক্ষেপ ঘটায়। যার ফলে অসংখ্য মুক্ত ইলেকট্রন কণার সৃষ্টি হয়। এই কণাগুলি দ্বারা প্রতিফলিত তরঙ্গ উভয় মেরু অঞ্চলের ওপর যখন 300 কিমি উচ্চতা থেকে ৪০ কিমি উচ্চতায় নেমে আসে তখন ওই অঞ্চলে মৃদু আলোযুক্ত এক রকম রশ্মি দেখা যায়, যাকে মেরুজ্যোতি (Aurora) বলে। এদের সুমেরুতে সুমেরুপ্রভা (Aurora Borealis) এবং কুমেরুতে কুমেরুপ্রভা (Aurora Australis) বলে।

Leave a Comment