Hooghly Branch (Govt) School
2 (i) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাসের মান হল – (c) 12,757 কিমি।
(ii) পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ও গ্রহরা প্রদক্ষিণ করছে এটি যার মত তিনি হলেন (d) অ্যারিস্টটল।
(iii) গোধূলির স্থায়িত্বকাল সবথেকে (a) নিরক্ষরেখায় ৷
(iv) মহাবৃত্তের সংখ্যা – (a) একটি।
(v) ‘ভূমধ্যসাগরের আলোকস্তম্ভ’ বলা হয় – (c) স্ট্রম্বলিকে।
(vi) আনাতোলিয়া মালভূমি হল মালভূমি । – (b) পর্বতবেষ্টিত
(vii) পুঞ্জিতক্ষয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক হল (a) অভিকর্ষ বল।
(viii) এলুভিয়াল স্তর বলা হয় – (a) A স্তরকে।
(ix) সিত্ৰাং ঝড় হয় – (d) 2022 সালে।
(x) মিলিয়ন শহরের জনসংখ্যা কমপক্ষে হয় (b) দশ লক্ষ ।
(xi) পৃথিবীর মানচিত্র প্রথম অঙ্কন করেন (d) টলেমি।
(xii) একটি ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্রের উদাহরণ হল (a) অ্যাটলাস।
(xiii) কুলটি বার্নপুর ইস্পাতকেন্দ্র অবস্থিত – (b) পশ্চিম বর্ধমানে।
(xiv) মুকুটমণিপুর যে শিল্পের জন্য বিখ্যাত – (c) পর্যটন।
3 (A) (i) নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর আবর্তন গতিবেগ প্রায় 1,670 কিমি প্রতি ঘণ্টা।
(ii) আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন = নগ্নীভবন।
(iii) উত্তরবঙ্গের নিম্ন জলাভূমিসমূহ তাল নামে পরিচিত।
(iv) টোপো মানচিত্রে নিত্যবহ নদী নীল বর্ণে দেখানো হয়।
(v) RF স্কেলে লব অংশ মানচিত্র দূরত্বকে নির্দেশ করে।
(vi) এপ্রিল-মে মাসের ঝড়কে কালবৈশাখী ঝড় বলে।
(B) (i) বেডফোর্ড লেভেলের পরীক্ষাটি হয় ইউক্রেনে। অ
(ii) অরোরা বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ারে সংঘটিত হয়। অ
(iii) অক্ষাংশ আসলে উত্তর বা দক্ষিণ দিকের কৌণিক পরিমাপ। শু
(iv) পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে যুক্ত। শু
(v) লৈখিক স্কেল সহজেই ছোটো ও বড়ো করা যায়। শু
(vi) পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল চা চাষের পক্ষে উপযোগী। অ
(C) (i) IAU এর পুরো কথা হল International Astronomical Union
(ii) উত্তর গোলার্ধে ধ্রুবতারার সাহায্যে অবস্থান নির্ণয় করা হয়।
(iii) মরু জলবায়ু অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকারের তীব্রতা বেশি।
(iv) QRT-এর পুরো কথা হল Quick Response Team.
(v) ‘আধুনিক শিল্পদানব’ পেট্রোরসায়ন শিল্পকে বলা হয়।
(vi) হলদিয়া কলকাতা বন্দরের সহায়ক বন্দর।
(D)
(i) বিন্ধ্য পর্বত (d) স্তূপ পর্বত
(ii) 180° দ্রাঘিমা (a) আন্তর্জাতিক তারিখরেখা
(iii) চানাচুর শিল্প (b) খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প
(iv) মালনাদ (c) ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি
4. (i) GPS এর ব্যবহার : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spans )-এর 3. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, ছায়াবৃত্ত (Shadow Circle) : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 3. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) সময় অঞ্চল (Time Zone) : একটি প্রমাণ দ্রাঘিমার সময় যে অঞ্চলের মধ্যে মেনে চলা হয় তাকে সময় অঞ্চল বলে। পৃথিবীকে 15° অন্তর মোট 26 টি সময় অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ব গোলার্ধে 14টি এবং পশ্চিম গোলার্ধে 12টি (কিরিবাটিতে আন্তর্জাতিক তারিখরেখাকে 180° দ্রাঘিমারেখা থেকে আরও 30° পূর্বে সরিয়ে দেওয়ায় পূর্ব গোলার্ধে 14টি সময় অঞ্চল)। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটি সময় অঞ্চলের মধ্যে সময়ের পার্থক্য 1 ঘণ্টা। তবে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে এই পার্থক্য 15 মিনিটও হয়ে থাকে। যেমন— ভারত ও নেপাল।
কিন্তু পৃথিবীতে যে সমস্ত দেশের পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃতি বেশি (যেমন— রাশিয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি)। সেই সমস্ত দেশগুলিতে একটি প্রমাণ সময়কে ভিত্তি করে প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে খুবই অসুবিধা হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য ওই সব দেশে একটি প্রমাণ দ্রাঘিমার পরিবর্তে একাধিক প্রমাণ দ্রাঘিমা কল্পনা করা হয়। প্রতিটি প্রমাণ দ্রাঘিমার প্রমাণ সময়কে ভিত্তি করে এক একটি সময় অঞ্চল গড়ে ওঠে। যেমন— রাশিয়াতে 11টি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে 11টি, ব্রাজিলে 4টি, অস্ট্রেলিয়ায় এটি সময় অঞ্চল রয়েছে।
অথবা, শিল্ড অঞ্চল : AC Institution, Malda-এর 3. (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) কার্বোনেশন (Carbonation) : AC Institution, Malda-এর 5. (A) (ii)-এর ‘অঙ্গারযোজন পয়েন্টটি দ্যাখো।
অথবা, জৈব আবহবিকার (Biological Weathering) : Baghbazar Multipurpose Girts School (Govt Spons)-এর 4. (ii)-এর জৈব আবহবিকার’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
(iv) মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় (Manmade Disaster) : সংজ্ঞা যে ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টিতে প্রকৃতির ভূমিকা নেই, কিন্তু মানুষের অবিবেচক কার্যাবলি, অজ্ঞতা, কুসংস্কারের কারণে সংগঠিত হয়, তাকেই মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় বলে।
উদাহরণ : 1984 সালে 3 ডিসেম্বর ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা একটি মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় ছিল।
অথবা, ভারতের দুটি বন্যাপ্রবণ অঞ্চল : অসমের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা অঞ্চল এবং ও পশ্চিমবঙ্গের দামোদর নদী অববাহিকা অঞ্চল।
(v) সেনসাস শহর (Census Town) : ভারতের আদমশুমারি অনুসারে যে অঞ্চলের জনসংখ্যা 5,000 জনের বেশি, ও জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 400 জনের বেশি এবং মোট জনসংখ্যার 75%-এর বেশি মানুষ কৃষি ব্যতীত অন্যান্য জীবিকায় নিয়োজিত, তাকে শহর বা সেনসাস শহর বলে।
উদাহরণ : দিঘা, তমলুক, উলুবেড়িয়া, মিরিক, বোলপুর প্রভৃতি।
অথবা, সম্পদের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য : কোনো বস্তু বা অবস্তুকে তখনই সম্পদরূপে গণ্য করা হয় যখন তার মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য বা গুণগুলি বজায় থাকে।
উপযোগিতা : উপযোগিতা বলতে সম্পদের সেই গুণকে বোঝায়, যার দ্বারা সম্পদ মানুষের অভাব মোচন করে। সম্পদের এই প্রকার উপযোগিতা প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। যেমন— কয়লা একসময় শুধু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হত কিন্তু বর্তমানে কয়লা থেকে একাধিক উপজাত দ্রব্য তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ, কয়লার উপযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ও কার্যকারিতা : সম্পদের কার্যকারিতা অর্থাৎ, কাজ করার ক্ষমতা থাকা একান্ত প্রয়োজন। যেমন— জল তৃষ্ণা মেটায়, পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, সেচের কাজে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে, শিল্পে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, জল হল সম্পদ।
(vi) ভারতের দুটি টার্শিয়ারি কয়লাক্ষেত্র : অসমের নাজিরা এবং তামিলনাড়ুর নেভেলি।
অথবা, দুটি অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ : সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি।
5 অথবা, অপসূর ও অনুসূর অবস্থান : AC Institution, Malda-এর 4. (iii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) স্তূপ পর্বতের পাশাপাশি গ্রস্ত উপত্যকা অবস্থান করার কারণ : ভূআলোড়নের ফলে সৃষ্ট টান ও সংকোচন বলের জন্য শিলাস্তরে ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি অবস্থিত দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ মহীভাবক আলোড়নের ফলে উপরে উঠে স্তূপ পর্বতের সৃষ্টি করে। এই পর্বত সৃষ্টির পর পর্বতের দুপাশের অংশগুলি অপেক্ষাকৃত নীচুতে অবস্থান করে। এই নীচু অংশ দুটি গ্রস্ত উপত্যকা-রূপে পরিচিত। যেমন— সাতপুরা (স্তূপ) পর্বতের দুই পাশে নর্মদা ও তাপ্তী নদী উপত্যকা দুটি গ্রস্ত উপত্যকা।
আবার, ভূআলোড়নের ফলে যদি দুটি চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ নীচে বসে যায়, তখন তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে। এরূপ ক্ষেত্রে, ওই গ্রস্ত উপত্যকার দুপাশের উচ্চ অংশ দুটি স্তূপ পর্বত রূপে বিরাজ করে। যেমন— রাইন নদীর গ্রস্ত উপত্যকায় দুপাশে রয়েছে ফ্রান্সের ভোজ ও জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট স্তূপ পর্বত। সুতরাং বলা যায়, স্তূপ পর্বত সৃষ্টি হলে গ্রস্ত উপত্যকা সৃষ্টি হবে এবং গ্রস্ত উপত্যকা সৃষ্টি হলে স্তূপ পর্বত সৃষ্টি হবে। তাই, স্তূপ পর্বত ও গ্রস্ত উপত্যকা পাশাপাশি অবস্থান করে।
অথবা, মৃত্তিকা সংরক্ষণের উল্লেখযোগ্য তিনটি উপায়: Baghbazar Multipurpose Girls School (Govt Spons)-এর S. (A) (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের মধ্যে পার্থক্য : AC Institution Maida এর (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, বিপর্যয়ের পরে গৃহীত ব্যবস্থাপনা বিপর্যয় কবলিত মানুষের দ্রুত উদ্ধার ও তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য বিপর্যয়ের পরবর্তীকালে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, একে বিপর্যয় পরবর্তী পর্যায় বলে। তিনটি পদক্ষেপে এই পর্যায়ে কাজ করা হয়। যথা—
প্রাণ সরবরাহ (Relief) বিপর্যস্ত মানুষের কাছে দ্রুত শুকনো খাবার, জল, ওষুধ, প্লাস্টিক, কম্বল, ত্রিপল পৌঁছে দেবার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে থাকে এবং কোথায়, কতটা রাগ যাবে, তার নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা গ্রহণ সবই পরিকল্পনা করে।
উদ্ধার কাজ (Recovery) বিপর্যয় কবলিত এলাকার মানুষদের দ্রুত উদ্ধারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার, সেনাবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে থাকে। দ্রুত ত্রাণ বিলি ও উদ্ধার কাজ করতে সংবাদ মাধ্যম ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
পুনর্বাসন (Rehabilitation) : বিপর্যয়ের পরবর্তীকালে বিপদগ্রস্ত মানুষকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে অস্থায়ী আশ্রয় শিবির গড়ে তোলা, আর্থিক সাহায্য প্রদান ইত্যাদি কাজে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
(W) প্রচলিত শক্তি সম্পদ অপেক্ষা অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ ব্যবহারের সুবিধা সমূহ: 461 নং পৃষ্ঠার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 4 (N)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অগ্রগতির কারণ : Bantra MSPC High School এর 5. (10)-এর অথবা র উত্তরটি দ্যাখো।
6 (i) 21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বরের পরবর্তী সময়ের দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি : 21 মার্চের অবস্থা : পৃথিবীর পরিক্রমণকালে 21 মাৰ্চ সূর্য নিরক্ষরেখা (0°)-এর ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। অর্থাৎ এই 21 মাৰ্চ দিন-রাত সমান হয়।
21 মার্চের পরবর্তী অবস্থা 21 মার্চের পর থেকে 23 সেপ্টেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে পড়ে অর্থাৎ উত্তরায়ণ ঘটে। তবে এই সময়কালের মাঝে 21 জুন সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখা (232° উ:) বরাবর লম্বভাবে কিরণ দেয় তাই উত্তর গোলার্ধে দিন বড়ো ও রাত ছোটো হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ছোটো ও রাত বড়ো হয়।
23 সেপ্টেম্বরের অবস্থা : 23 সেপ্টেম্বর তারিখটিতে সূর্য নিরক্ষরেখা (0°)-এর উপর পুনরায় লম্বভাবে কিরণ দেয়, ফলে 23 সেপ্টেম্বর দিন-রাত সমান হয়।
23 সেপ্টেম্বরের পরবর্তী অবস্থা 23 সেপ্টেম্বর থেকে 21 মার্চ পর্যন্ত সময়কালে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে সরে যাওয়ায় দক্ষিণায়ন ঘটে। তবে এই সময়ের মধ্যে 22 ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তি রেখা বরাবর কিরণ দেয়, ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড়ো ও রাত ছোটো হয় এবং উত্তর গোলার্ধে দিন ছোটো ও রাত বড়ো হয়।
(ii) পাতসংস্থান তত্ত্বের আলোকে আগ্নেয় পর্বতের উত্থান :
আগ্নেয় পর্বতের সংজ্ঞা (Volcanic Mountain) : অন্তর্জাত শক্তির প্রভাবে ভূগর্ভের অর্ধতরল সান্দ্র ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো দুর্বল স্থানে সৃষ্ট ফাটল বরাবর বেরিয়ে ভূপৃষ্ঠে সঞ্জিত হয়ে কালক্রমে যে পর্বতের সৃষ্টি হয়, তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। আগ্নেয় পর্বত এক ধরনের সঞ্চয়জাত পর্বত (Mountain of accumulation) অর্থাৎ, আগ্নেয় পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে পর্বতের সৃষ্টি হয়, তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে।
উদাহরণ : জাপানের ফুজিয়ামা, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনালোয়া (পৃথিবীর উচ্চতম আগ্নেয়গিরি), ইতালির ভিসুভিয়াস, ভারতের ব্যারেন ও নারকোন্ডাম প্রভৃতি।
আগ্নেয় পর্বতের উৎপত্তি :
পাত সঞ্চালন তত্ত্ব : অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান পাতগুলি সর্বদা গতিশীল থাকে। পাতগুলি কখনও পরস্পরের দিকে, কখনও পরস্পরের বিপরীত দিকে এবং কখনও আবার পরস্পর পাশাপাশি সঞ্চারণ করে থাকে যার ফলে বিভিন্ন ধরনের পাত সীমান্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাত সীমান্তগুলিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে থাকে, যথা—
অভিসারী পাত সীমান্ত : দুটি পাত পরস্পরের অভিমুখে সঞ্চালিত হয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী পাতটি হালকা পাতের নীচে অবনমিত হয়। নীচে অবনমিত হওয়া পাতটি অ্যাসথেনোস্ফিয়ারে গলে যায় এবং অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। যেমন – প্রশান্ত মহাসাগরের চারদিকে অভিসারী পাতসীমানা বরাবর অসংখ্য আগ্নেয়গিরি তথা আগ্নেয় পর্বত এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিসারী পাত সীমানা : প্রতিসারী পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পর থেকে দূরে সরে গিয়ে ভূত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়। সেই ফাটলের মধ্য দিয়ে ভূগর্ভের ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে লাভা আকারে বেরিয়ে এসে সঞ্চিত হয়ে আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টি করে। এইভাবে প্রতিসারী পাত সীমান্তে অবস্থিত মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা (Mid Oceanic Ridge) বরাবর অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে মাদিরা, হেকলা প্রভৃতি আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে।
(iv) শল্কমোচন প্রক্রিয়া : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 5. (A) (iv)-এর শল্কমোচন’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
ক্ষুদ্রকণা বিশরণ প্রক্রিয়া : Bankura Christian Collegiate School-এর 5. (A) (iv)-এর ক্ষুদ্রকণা বিসরণ’ পয়েন্টটি দ্যাখো।
(i) ভারতের আকরিক লোহার বণ্টন : Bolpur High School-এর 5. (B) (ii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 5. (B) (ii)-এর অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ’ অংশটি দ্যাখো।
(iv) ধান চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 5. B. (ii)-এর প্রাকৃতিক পরিবেশ’ অংশটি দ্যাখো।