AC Institution, Malda
বিভাগ – ক
1 (i) সৌরজগতে যে গ্রহের ঘনত্ব সর্বাধিক তা হল (b) পৃথিবী ।
(ii) পৃথিবীর নিরক্ষীয় তল ও কক্ষতলের কৌণিক ব্যবধান হল – (a) 23½°। 1
(iii) ম্যাগমার ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহকে বলে (d) প্লিউম ।
(iv) সুন্দরবন ‘World Heritage Site-এর মর্যাদা পেয়েছে (a) 1987 সালে।
(v) GSI-এর পুরো নাম হল – (c) Geological Survey of India –
(vi) পশ্চিমবঙ্গে মহানগরের সংখ্যা – (b) 2 টি।
(vii) প্রদত্ত যেটি উচ্চফলনশীল ধানবীজ নয় (d) শ্যামলী।
(viii) পেট্রোলিয়ামের উপজাত দ্রব্য হল (a) ন্যাপথা।
(ix) প্রদত্ত যে জোড়াটি সঠিক – (b) ধান গবেষণাকেন্দ্র চুঁচুড়া।
(x) প্রদত্ত যেটি মৃত আগ্নেয়গিরি (d) চিম্বোরাজো।
(xi) পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যে রাজ্য বা রাষ্ট্রটির সীমানা সর্বনিম্ন তা হল (b) সিকিম।
(xii) ONGC-এর সদর দপ্তর (b) দেরাদুন।
(xiii) ভারতের বৃহত্তম তৈল শোধনাগার (d) জামনগর।
(xiv) প্রদত্ত যেটি ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্র – (a) গ্লোব।
বিভাগ – খ
2 (A)
(i) বৃহস্পতির পরিক্রমণ বেগ সবচেয়ে বেশি। অশু
(ii) আবহবিকার, পুঞ্জিতক্ষয় ও ক্ষয়ীভবনকে একত্রে নগ্নীভবন বলে। শু
(ii) ময়ূরাক্ষী পরিকল্পনার একটি জলাধার হল তিলপাড়া। শু
(iv) TCS ভারতের বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। শু
(v) ভারতের বৃহত্তম লৌহখনি হল কেওনঝড় জেলার বোলানি। অশু
(vi) হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে পশ্চিমবঙ্গ। অশু
(vii) মানচিত্রে ভার্নিয়ার স্কেল ব্যবহৃত হয় না। শু
B. (i) ‘রাঢ়’ শব্দের অর্থ হল রুক্ষ ভূমি।
(ii) কলকাতা বাদে পশ্চিমবঙ্গে অরণ্য সবথেকে কম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।
(iii) পশ্চিমবঙ্গে কোচবিহার জেলা বাংলাদেশের ছিটমহলের সঙ্গে যুক্ত।
(iv) ভারতের বৃহত্তম মালভূমি হল দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
(v) PMR Preparedness, Mitigation এবং Recovery
(vi) মানচিত্র অঙ্কন সম্পর্কিত বিদ্যাকে কার্টোগ্রাফি বলে।
(vii) বক্রেশ্বর নদ + কোপাই নদী = ময়ূরাক্ষী নদী।
(c) (i) সর্বপ্রথম সূর্যকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণা প্রবর্তন করেন – নিকোলাস কোপারনিকাস।
(ii) পশ্চিমঘাট পর্বত হল স্তূপ পর্বত।
(iii) অস্ট্রেলিয়াকে দাবানলের দেশ বলা হয়।
(iv) স্ক্রি বা ট্যালাস : শীতপ্রধান অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকারের মাধ্যমে শিলাস্তর ফেটে টুকরো টুকরো অসংখ্য কোণ বিশিষ্ট প্রস্তরখণ্ডের সৃষ্টি করে। এই কোণ বিশিষ্ট প্রস্তরখণ্ডগুলি উল্লম্বভাবে পর্বতগাত্রে অবস্থান করলে তাকে স্ক্রি বা ট্যালাস বলে।
(v) ভারতের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হল – তামিলনাড়ুর মুপান্ডাল।
(vi) বাংলার ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ হল – গনগনি।
(vii) সি ডাইক : সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূল অঞ্চলে এক বিশেষ প্রকারের বাঁধ তৈরি করা হয়, এগুলিকে সি-ডাইক বলা হয়।
(D)
(i) NHPC-এর সদর দপ্তর (c) ফরিদাবাদ
(ii) সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (d) দেরাদুন
(iii) অচিরাচরিত শক্তিমন্ত্ৰক (b) নতুন দিল্লি
(iv) কোল ইন্ডিয়া (a) কলকাতা
বিভাগ-গ
3 (i) স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়ের মধ্যে পার্থক্য :
সংজ্ঞা আকাশে সূর্যের অবস্থান অনুসারে কোনো স্থানের যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তাকে স্থানীয় সময় বলে।
কোনো দেশ বা অঞ্চলের অসংখ্য দ্রাঘিমার মধ্যে একটি বা কয়েকটিকে প্রমাণ দ্রাঘিমারেখা ধরে তার সময় অনুযায়ী সেই দেশ বা অঞ্চলে যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তাকে প্রমাণ সময় বলে।
সময় পরিবর্তন স্থানীয় সময়ের পরিবর্তন হয় 1°-তে 4 মিনিট বা 15°-তে 1 ঘণ্টা হারে।
পৃথিবীব্যাপী সর্বনিম্ন প্রমাণ সময়ের পরিবর্তন ধরা হয়েছে, 30 মিনিট (7°30′) হারে।
অথবা, প্রতিপাদ স্থান (Antipodes) : ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দু বা স্থান থেকে কল্পিত রেখা পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে প্রসারিত করলে তা বিপরীত প্রান্তে যে বিন্দু বা স্থানে স্পর্শ করে, তাকে প্রথম বিন্দু বা প্রথম স্থানের প্রতিপাদ স্থান বলা হয় ।
(ii) পুঞ্জিত ক্ষয় (Mass Wasting) : আবহবিকারের ফলে সৃষ্ট বিয়োজিত ও চূর্ণবিচূর্ণ শিলাখণ্ড, মৃত্তিকা প্রভৃতি পুঞ্জাকারে পিচ্ছিল তলের মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে দ্রুত বা ধীরভাবে নীচে নেমে আসার সময় ভূগাত্রে যে ক্ষয় হয়, তাকে পুঞ্জিত ক্ষয় বলে।
অথবা, হিমানি সম্প্রপাত (Avalanche ) : পর্বতের ঢাল বেয়ে মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে বিপুল পরিমাণ হিমরাশির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নেমে আসার ঘটনাকে হিমানি সম্প্রপাত বলে।
সৃষ্টির কারণ : অতিরিক্ত তুষারপাত, উয়তার বৃদ্ধি, প্রবল বায়ুপ্রবাহ, ভূমিকম্প প্রভৃতি কারণে হিমানি সম্প্রপাত হয়ে থাকে।
প্রভাব : হিমানি সম্প্রপাতের ফলে পর্বতারোহণে বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়। ও অনেক সময় পর্বতারোহীদের মৃত্যু ঘটে। ও পাহাড়ি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
(iii) শিল্ড মালভূমি (Shield Plateau ) : পাতসংস্থান তত্ত্ব অনুসারে সঞ্চরণশীল পাতের সমন্বয়ে গঠিত দুটি প্রাচীন ভূখণ্ড পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যখন বিশাল আয়তন জুড়ে মালভূমিরূপে অবস্থান করে, তখন তাকে শিল্ড মালভূমি বলে ।
অথবা, বাজাদা (Bajada) : মরু অঞ্চলে কোনো উচ্চভূমির খাড়া ঢালের পাদদেশে বালি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি করে, তাকে বাজাদা বা মরু সমভূমি বলে। যেমন— সাহারা মরুভূমিতে আটলাস পর্বতের পাদদেশে এইরূপ সমভূমি দেখা যায়।
(iv) কোরিওলিস বল (Coriolis force) : পৃথিবী তার নিজ মেরুদণ্ডের উপর সূর্যকে সামনে রেখে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ক্রমাগত আবর্তন করার ফলে যে শক্তির উদ্ভব ঘটে, তাকে কোরিওলিস বল বলে।
উদ্ভাবক : 1835 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিজ্ঞানী G De Coriolis এই বল সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন।
বৈশিষ্ট্য : এই শক্তি বায়ুর গতির অভিমুখে প্রযুক্ত হয়। এটি বায়ুচাপের ঢালের সমকোণে প্রবাহিত হয়। নিরক্ষরেখায় এই বলের মান শূন্য হয় এবং উভয় মেরুর দিকে এই বলের মান ক্রমশ বাড়তে থাকে।
প্রভাব : কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।
অথবা, GPS : মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্রের 3. (i)-এর উত্তরটি দেখুন।
(v) কোক কয়লা (Coke Coal) : বিটুমিনাস কয়লাকে কোক চুল্লিতে প্রসেসিং করে কয়লাস্থিত অপদ্রব্য, জলীয় বাষ্প পরিশ্রুত করে কার্বন উপাদান (%) বাড়িয়ে যে উৎকৃষ্ট কয়লা তৈরি করা হয়, তাকে কোক কয়লা বলে। লৌহ-ইস্পাত শিল্পে এই কয়লা অধিক ব্যবহৃত হয়।
অথবা, অপ্রচলিত শক্তি (Unconventional Energy) : পৃথিবীতে যেসমস্ত শক্তি সম্পদের অস্তিত্ব থাকলেও সেভাবে ব্যবহৃত হয়নি, কিন্তু ভবিষ্যতে যার ব্যবহার সর্বাধিক বৃদ্ধি পাবে, তাদের অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ বলে। উদাহরণ : সৌরশক্তি, ভূ-তাপশক্তি, বায়ুশক্তি প্রভৃতি।
(vi) বিষয়ানুগ মানচিত্র (Thematic Map) : প্রাকৃতিক (ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, মাটি প্রভৃতি), অর্থনৈতিক (কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, পরিবহণ), সাংস্কৃতিক (জনসংখ্যা প্রভৃতি) ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের কোনো একটির ওপর ভিত্তি করে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, তাকে বিষয়ানুগ মানচিত্র বা বিষয়ণভিত্তিক মানচিত্র বা থিমেটিক মানচিত্র বলে।
উদাহরণ : নদ-নদী মানচিত্র, আবহাওয়া মানচিত্র, জনসংখ্যা মানচিত্র প্রভৃতি।
অথবা, কুটির শিল্প (Cottage Industry) : গ্রামাঞ্চলে মূলত সহজে প্রাপ্ত কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে পরিবারের সদস্যদের দ্বারা যে শিল্প গড়ে ওঠে, তাকে কুটির শিল্প বলে।
বৈশিষ্ট্য : এটি মূলত গ্রামীণ শিল্প। এই শিল্পে যন্ত্রনির্ভরতা খুবই কম, মূলত কায়িকশ্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। পরিবারের সদস্যদের দ্বারাই এই শিল্প গড়ে ওঠে। উদাহরণ : বিড়ি শিল্প, মাদুর শিল্প, গুড় শিল্প ইত্যাদি।