Bankura Christian Collegiate School
বিভাগ ক
1 (i) সৌরদিন অপেক্ষা নক্ষত্র দিনের দৈর্ঘ্য যত কম তা হল (a) 3 মিনিট 56 সেকেন্ড।
(ii) সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয় যে তারিখের পর তা হল (a) 21 জুন।
(iii) জিয়ড তলের ভিত্তি হল – (b) অভিগত গোলকপৃষ্ঠ।
(iv) কৃষিকাজ, উদ্ভিদ, পোশাক, পরিচ্ছদের প্রকৃতি নির্ভর করে যে রেখার ওপর, তা হল – (b) দ্রাঘিমারেখা।
(v) সকলপ্রকার ভূমিরূপ প্রক্রিয়ার প্রধান নিয়ন্ত্রক হল (a) শক্তি।
(vi) সমতল শীর্ষবিশিষ্ট বৃহৎ মালভূমিকে বলে (a) মেসা।
(vii) দিনের যে সময়ে ক্ষুদ্রকণা বিসরণ ঘটে তা হল (a) বিকেলবেলা।
(vii) অঙ্গারযোজনের ফলে উৎপন্ন লালবর্ণের মৃত্তিকাকে বলে – (a) টেরাসোসা।
(ix) বজ্রপাতের ফলে যে দুর্যোগ ঘটতে পারে তা হল (c) দাবানল ।
(x) আকাশপথ বা বায়ুমণ্ডল যে ধরনের সম্পদ তা হল (d) সার্বজনীন সম্পদ
(xi) পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির মধ্যে জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি – (d) বিহারে।
(xii) গঙ্গার বদ্বীপ অঞ্চলের যে অংশে ভূমিরূপ গঠনের কাজ শেষ হয়ে গেছে তার নাম হল (d) মৃতপ্রায় বদ্বীপ।
(xiii) পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পের প্রচার অভিযানের স্লোগানটি হল – (b) বিশ্ববাংলা।
(xiv) ‘কালো হীরের শহর’ নামে পরিচিত – (d) আসানসোল।
বিভাগ – খ
2 (A)
(i) ছোটোনাগপুর মালভূমি একটি লাভা মালভূমি। ভুল
(ii) 21 মার্চকে জলবিষুব বলা হয়। ভুল
(iii) উঘ্ন মরু অঞ্চলে আর্দ্র বিশ্লেষণ অধিক দেখা যায়। ভুল
(iv) অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয়। ভুল
(v) হিমালয় পর্বতমালা টার্শিয়ারি যুগে সৃষ্টি হয়েছিল। ঠিক
(vi) পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে সারাবছর একটি ঋতুই বিরাজ করে। ঠিক
(B) (i) বায়ু ও জলধারার মিলিত প্রভাবে বাজাদা গড়ে ওঠে।
(ii) GIS-এর পুরো নাম Geographic Information System
(iii) ভারতের চা গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে অসমের জোড় হাটে।
(iv) বিষমসত্ত্ব শিলায় ক্ষুদ্রকণা বিসরণ (যান্ত্রিক) আবহবিকার বেশি ঘটে।
(v) হাওড়া শহরকে ‘ভারতের গ্লাসগো’ বলা হয়।
(vi) পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানচিত্র প্রস্তুতকারী ব্যক্তির নাম অ্যানাক্সিমেন্ডার।
(vii) শস্যের শিকড় দ্বারা জমি আচ্ছাদন করে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করার পদ্ধতিকে বলে মালচিং।
(viii) এককের ভগ্নাংশের পাঠ নেওয়ার জন্য ভগ্নাংশসূচক স্কেল (RF স্কেল) ব্যবহার করা হয়।
(C)
(i) উল্লম্ব ফাটল যান্ত্রিক আবহবিকারে দেখা যায়।
(ii) জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি হয়েছে।
(iii) পৃথিবীর মেরু পরিধি অপেক্ষা নিরক্ষীয় পরিধি 51 কিমি বেশি।
(iv) সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প সুনামি সৃষ্টির জন্য দায়ী।
(v) মানচিত্র ও ভূমিভাগের অনুপাতকে স্কেল বলে।
(vi) কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা হল 91°30′ পশ্চিম।
(vii) প্রবল বায়ুপ্রবাহ বালিকে উড়িয়ে নিয়ে লোয়েস সমভূমি সৃষ্টি হয়।
(viii) দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের উচ্চতম শৃঙ্গ সান্দাকফু।
(D)
(i) উত্তর গোলার্ধের দেশ (b) ভারত
(ii) মৃত্তিকা সংরক্ষণ (c) বনসৃজন
(ii) সাঁওতালডিহি (d) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
(iv) পর্যটন শিল্প (a) দার্জিলিং
বিভাগ গ
3 (i) রবিমার্গ (Ecleiptic) : ‘রবি’ অর্থে সূর্য, ‘মাৰ্গ’ অর্থে পথ অর্থাৎ সূর্যের গমন পথ। বাস্তবে সূর্য স্থির কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীর পরিক্রমণের সময় মনে হয়, সূর্য বার্ষিক গতিপথে পৃথিবীকে পরিক্রমণ করছে, তাকেই রবিমার্গ বা সূর্যের বার্ষিক গতি বলে।
অথবা, প্লুটোকে বামন গ্রহ বলার কারণ : সাধারণত সৌরজগতে কিছু জ্যোতিষ্ক আছে যেগুলি গ্রহের মতো দেখতে ও গোলাকার। কক্ষপথ অনুসরণ করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, কিন্তু আকারে ছোটো বলে নিজ কক্ষপথের আশপাশের মহাজাগতিক বস্তুগুলিকে সরিয়ে দিতে পারে না। এদের ‘বামন গ্রহ বলা হয়।
রোমান মৃত্যু ও অপরাধ জগতের দেবতার নাম অনুসারে প্লুটো নামক বামন গ্রহটির নামকরণ করা হয়। 2006 সালে IAU (International Astronomical Union) প্লুটোকে বামন গ্রহ আখ্যা দেয়। কারণ—
অতি ক্ষুদ্র আকার : পৃথিবীর আকারের তুলনায় প্লুটো প্রায় 463 গুণ ছোটো । এই ক্ষুদ্র আকারের জন্য মহাজাগতিক বিভিন্ন বস্তু কখনো কখনো কক্ষপথে এসে পড়লে প্লুটো সেগুলি সরিয়ে দিতে পারে না।
ঔজ্জ্বল্যতা ও ভর : প্লুটো থেকে সূর্যের দূরত্ব বেশি হওয়ায়, (592.41 কোটি কিমি) উষ্ণতা প্রায় –230° সেন্টিগ্রেড থাকে। তাই ঔজ্জ্বল্য ভাব পৃথিবী থেকে প্রায় 1905 গুণ কম লাগে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভরযুক্ত না হওয়ার কারণে এই গ্রহকে বামন গ্রহ বলে।
গুরুত্বহীনতা : 2006 সালের আগে সৌরজগতে ৭টি গ্রহ ছিল কিন্তু IAU-এর 26 তম অধিবেশনে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানালেন সৌরজগতে ৪টি কুলীন গ্রহ ও 3টি বামন গ্রহ আছে। কুলীন গ্রহ অপেক্ষা বামন গ্রহের সংখ্যা কম এবং অন্যান্য গ্রহ অপেক্ষা প্লুটোর গুরুত্বও কম হওয়ায় একে বামন গ্রহের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
(ii) সমগ্র পৃথিবীর সময় নির্ধারণে গ্রিনিচ সময়ের গুরুত্ব : পৃথিবীর কোনো স্থানের 1° পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত অন্য স্থানে প্রায় 4 মিনিট সময়ের ব্যবধান ঘটে। ফলে কাজকর্মে অসুবিধা দেখা যায়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য বিভিন্ন দেশে নির্দিষ্ট প্রমাণ, সময় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, এর ফলেও পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক কাজকর্মে নানা অসুবিধা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মূলমধ্যরেখার (0°) স্থানীয় সময়কে সারা পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়।
অথবা, ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যাওয়ার কারণ : জীব অর্থাৎ, যার জীবন আছে এবং অশ্ম শব্দের অর্থ শিলা বা প্রস্তর। কোনো জীবদেহ শিলায় পরিণত হলে, বা প্রস্তরীভূত হলে, তাকে জীবাশ্ম (Fossils) বলে। জীবাশ্ম = জীব + অশ্ম। সমুদ্রগর্ভে পলি জমে পাললিক শিলাস্তর গঠনের সময় সামুদ্রিক উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ চাপা পড়ে যায়। কোটি কোটি বছর ধরে পলিস্তরের চাপ ও ভগর্ভের তাপে এই জীবদেহাবশেষগুলি প্রস্তরীভূত হয়ে জীবাশ্মে পরিণত হয়। অর্থাৎ, সমুদ্রগর্ভে পাললিক শিলাস্তরে জীবাশ্ম গঠিত হয়। পরবর্তীকালে, পাত সঞ্চারণের কারণে বা গিরিজনি আলোড়নের ফলে যখন সমুদ্রগর্ভের এই পাললিক শিলাস্তর ভাঁজ প্রাপ্ত হয়ে ভঙ্গিল পর্বত রূপে উপরে উঠে আসে তখন জীবাশ্মগুলি ওই পাললিক শিলায় গঠিত ভঙ্গিল পর্বতেই থেকে যায়। এই কারণে, ভঙ্গিল পর্বতে বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম দেখা যায় ।
(iii) কলয়েড উৎপাটন (Coloid Plucking) : ‘কলয়েড’ শব্দের অর্থ ‘আঠা’। খনিজ ও জৈব সংমিশ্রণে সৃষ্ট মাটির একপ্রকার আঠালো উপাদান হল ‘কলয়েড’। এই কলয়েড ধর্মের জন্য শিলার গায়ে লেগে থাকা মাটি শুকিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় শিলার গা থেকে কিছু অংশ উৎপাটন করে, একে কলয়েড উৎপাটন বলে।
অথবা, প্রাণী ও উদ্ভিদ দ্বারা জৈবিক আবহবিকার প্রক্রিয়ার বর্ণনা : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 4. (ii)-এর উত্তরটি দেখুন।
(iv) মেঘভাঙা বৃষ্টি (Cloud Burst) : Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)-এর 3. (iii)-এর উত্তরটি দেখুন।
অথবা, ব্লিজার্ড (Blizzard) : Balurghat High School-এর 3. (iv)-এর উত্তরটি দেখুন।
(v) বহুমুখী নদী পরিকল্পনা : যে পরিকল্পনার মাধ্যমে উঁচু অঞ্চলে নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে সমগ্র নদী উপত্যকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জলপথে পরিবহণ, মাছ চাষ, পানীয় জল সরবরাহ প্রভৃতি একাধিক জনহিতকর উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করা যায় এবং নদী উপত্যকা অঞ্চলের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয়, তাকে বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা বলে। যেমন— দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনা, ভাক্রা-নাঙ্গাল পরিকল্পনা, হিরাকুঁদ পরিকল্পনা প্রভৃতি।
অথবা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প : কৃষিকাজ, মৎস্যচাষ, পশুপালন প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত দ্রব্য সরাসরি খাওয়ার উপযুক্ত করা কিংবা বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যে পরিণত করা এবং ওই সমস্ত খাদ্যদ্রব্যের গুণমান বজায় রাখার জন্য প্যাকেজিং ও হিমায়িত করার সঙ্গে যুক্ত সকল ধরনের শিল্পকর্মকে একত্রে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প বলে।
(vi) মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব : প্রধানত ভূমির দাগ নম্বর অনুযায়ী যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয়, তাকে মৌজা বা ক্যাডাস্ট্রাল মানচিত্র বলে। ভূমির ব্যবহারে এই বৃহৎ স্কেলের মৌজা মানচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন— মৌজা মানচিত্রে দেশের সমস্ত জমির আইনি নথিভুক্তকরণ করা হয় যাতে সরকারের রাজস্ব, খাজনা আদায়ে সুবিধা হয়। এই মানচিত্র বড়ো স্কেলে অঙ্কন করা হয় বলে যে-কোনো জমির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিমাপ করা সম্ভব হয়। শহরাঞ্চলে প্রতিটি বাড়ির নকশা (Plan) এই মানচিত্রে দেখানো হয়। গ্রাম বা শহরের ভূমি ব্যবহার মানচিত্র প্রস্তুতিতে মৌজা মানচিত্র খুবই উপযোগী।
অথবা, সাদা কয়লা : জলবিদ্যুৎ শক্তিকে ‘সাদা কয়লা’ বলা হয়। কারণ, কয়লা থেকে যেমন তাপবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়, তেমনি জল থেকে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়। কেবল কয়লার রং কালো এবং জল স্বচ্ছ বা বর্ণহীন। তাই কয়লার সঙ্গে তুলনা করে রূপ অর্থে জলবিদ্যুৎ শক্তিকে ‘সাদা কয়লা’ বলা হয় ।