Baghbazar Multipurpose Girls’ School (Govt Spons)
বিভাগ ক
1
(i) ‘পাত সংস্থান তত্ত্ব’-এর জনক হলেন – (d) পিঁচো।
(ii) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও মেরুবাসের পার্থক্য হল – (b) 43km
(iii) কোনো স্থানের দ্রাঘিমাংশ 70° পূর্ব হলে তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমাংশ হবে – (c) 110° পশ্চিম।
(iv) অপসূর হয় – (a) 4 জুলাই।
(v) সর্বনিম্ন অক্ষাংশের মান হল – (d) 0° (vi) গ্রস্ত উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীটি হল – (b) নর্মদা।
(vii) গ্রানাইট শিলায় যে ধরনের আবহবিকার দেখা যায়, তা হল – (b) শল্কমোচন।
(viii) একটি সম্পূর্ণ মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ হল (a) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
(ix) মামা-ভাগ্নে পাহাড় যে জেলায় অবস্থিত তা হল (c) বীরভূম।
(x) সামাজিক সম্পদের উদাহরণ হল (c) বিদ্যালয়। (xi) পশ্চিমবঙ্গের পাট গবেষণাকেন্দ্রটি অবস্থিত (c) ব্যারাকপুরে।
(xii) ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ হল (a) শিলিগুড়ি।
(xiii) অ্যাটলাস হল (d) মানচিত্র সংকলিত বই।
(xiv) 1 সেমি মানচিত্র দূরত্বে 200 কিমি প্রকৃত দূরত্ব হলে 100 কিমি দেখানো হবে (a) 0.5 সেমিতে।
বিভাগ : খ
2
(A)
(i) মঙ্গল গ্রহে বলয় দেখা যায়। অ
(ii) দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে ধ্রুবতারা দেখা যায়। অ
(iii) ল্যাটেরাইট মাটি অনুর্বর। শু
(iv) প্যানজিয়া (Pangaea) একটি জলভাগ। অ
(v) সব দুর্যোগের অন্তিম পর্যায় বিপর্যয়। অ
(vi) বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে জেলার সংখ্যা 22টি। অ
(vii) ভারতে প্রাপ্ত অধিকাংশ কয়লা বিটুমিনাস জাতীয় | শু
(B)
(i) মৃত্তিকার A ও B স্তরকে একত্রে বলা হয় সোলাম।
(ii) ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমার মান 82°30′ |
(iii) ‘বিষুব’ কথার অর্থ হল সমান দিন ও রাত্রি।
(iv) স্ট্রম্বলি-কে ‘ভূমধ্যসাগরীয় আলোকস্তম্ভ’ বলা হয়।
(v) তিস্তা নদীকে ‘উত্তরবঙ্গের ত্রাসের নদী’ বলা হয় ৷
(vi) আবহবিকার হল একটি স্থৈতিক প্রক্রিয়া।
(vii) দুর্গাপুর-কে ‘ভারতের রুঢ়’ বলা হয়।
(c)
(i) আন্তর্জাতিক তারিখরেখাটি 180° দ্রাঘিমা রেখাকে অনুসরণ করে টানা হয়েছে।
(ii) আবহবিকারের ফলে সৃষ্ট প্রাথমিক শিলাচূর্ণকে রেগোলিথ বলে।
(iii) শিলার উপর মরচে পড়ে জারণ প্রক্রিয়ায়।
(iv) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি সৃষ্টির একটি কারণ হল পাত সঞ্চালন।
(v) ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট কয়লাখনি তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত।
(vi) সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।
(vii) ISRO-এর পুরো কথাটি হল Indian Space Research Organisation।
(D)
(i) দুর্গাপুর (c) লৌহ-ইস্পাত
(ii) ডানকুনি (d) ডেয়ারি
(iii) সল্টলেক (a) তথ্যপ্রযুক্তি
(iv) দার্জিলিং (b) চা
বিভাগ গ
3 (i) GPS-এর ব্যবহার : বর্তমানে পৃথিবীতে কৃত্রিম উপগ্রহের কার্যপ্রণালী যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে GPS-এর উপর নির্ভরতা ততই বেড়ে চলেছে। GPS-এর ব্যবহারগুলি হল— সঠিক অবস্থান নির্ণয় : GPS-এর মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের যে-কোনো স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমা, উচ্চতা সহজেই পরিমাপ করা যায়। যানবাহন সংক্রান্ত তথ্য : জাহাজ, বিমান এমনকি সড়কপথে এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে-কোনো যান তার সঠিক দিশা, অবস্থান নির্ণয় করে থাকে। প্রতিরক্ষামূলক কাজ : প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীদের নিকট এটি একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিমূলক হাতিয়ার। জরিপ কার্যে : বর্তমানে পৃথিবীর কোনো অঞ্চলকে জরিপ (survey) করার জন্য, শহর পরিকল্পনা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং জরিপ কাজে, মৌজা মানচিত্রে সীমানা নির্ধারণে GPS প্রযুক্তি এক দক্ষ যন্ত্র হিসেবে কাজ করে।
অথবা, মহাবিষুব (Vernal Equinox) : পৃথিবী 66½° কোণে হেলে সূর্যকে পরিক্রমণ করতে করতে 21 মার্চ তার কক্ষপথে এমনভাবে অবস্থান করে যে এই দিন সূর্যকিরণ ঠিক নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে। ফলে পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়, এই দিনটিকে মহাবিষুব (বিষুব শব্দের অর্থ সমান দিন ও রাত্রি) বলা হয়।
নামকরণ : সূর্যের উত্তরায়ণের সময় মহাবিষুব ঘটে উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ বা মহাদেশের পরিমাণ বেশি বলে একে ‘মহাবিষুব’ নাম দেওয়া হয়েছে। আবার উত্তর গোলার্ধে এই সময় বসন্তকাল বিরাজ করে। তাই একে বসন্তকালীন বিষুবও (Vernal Equinox) বলা হয়।
বিশেষত্ব : এই দিন ছায়াবৃত্ত প্রতিটি সমাক্ষরেখাকে সমদ্বিখণ্ডিত করে। উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সমান দূরে অবস্থান করে। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু একই সঙ্গে সূর্যালোক পায়। এই সময় পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি হয়। এই অবস্থানে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করে।
(ii) নগ্নীভবন (Denudation) : আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় ও ক্ষয়ীভবনের সম্মিলিত প্রভাবে শিলার উপরের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ ও অপসারিত হয় এবং নীচের শিলাস্তর উন্মুক্ত হয়ে পড়ার প্রক্রিয়াকে নগ্নীভবন বলে। অর্থাৎ, নগ্নীভবন = আবহবিকার + পুঞ্জিত ক্ষয় + ক্ষয়ীভবন।
উদাহরণ : উষ্ণ, শুষ্ক মরু অঞ্চলে গ্রানাইট শিলায় এই প্রক্রিয়া অধিক কার্যকর হয়।
অথবা, ফেরেলের সূত্র (Ferrel’s Law) : বায়ু ও সমুদ্রস্রোতের দিক বিক্ষেপ সংক্রান্ত একটি সূত্র হল ফেরেলের সূত্র। সূত্রটির আবিষ্কর্তা : 1855 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার আবহবিজ্ঞানী W Ferrel কোরিওলিস বলের উপর ভিত্তি করে এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন বলে, তার নামানুসারে সূত্রটির নাম হয় ফেরেলের সূত্র।
সূত্র : সূত্রানুযায়ী বলা হয়, পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য উৎপন্ন এই বলের কারণে পৃথিবীর ওপর চলমান কোনো বস্তু কেন্দ্ৰ থেকে বাইরের দিকে সোজা না গিয়ে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে সমুদ্রস্রোত ও বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।
উদাহরণ : ফেরেলের সূত্রানুসারে আয়ন বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে বেঁকে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু নামে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নামে প্রবাহিত হয়।
(iii) মেঘভাঙা বৃষ্টি (Cloud Burst) : স্থানীয়ভাবে সংঘটিত বজ্রবিদ্যুৎ ও শিলাবৃষ্টি সহযোগে আকস্মিক প্রবল বৃষ্টিপাতকে বলা হয়ে থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি। বর্ষাকালে খুব অল্প সময়ে বিশেষত পার্বত্য এলাকায় সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে বড়ো বড়ো ফোঁটায় অত্যধিক বৃষ্টিপাত হলে তাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলে। এরূপ বৃষ্টিপাতের ফলে অত্যধিক জল নদীখাতের মধ্য দিয়ে না যেতে পেরে পার্বত্য এলাকায় হড়পা বান সৃষ্টি করে।
উদাহরণ : 2013 সালে 16 ও 17 জুন উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিপাতের ফলে হড়পা বানে প্রায় 4000 জন মানুষের মৃত্যু ঘটে।
অথবা, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা : বিপর্যয়ের সকল স্তরে গৃহীত নীতিসমূহ, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপের সমষ্টিগত রূপকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলে। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনাকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয় –
বিপর্যয় পূর্ববর্তী পর্যায় : এই পর্যায়ে দুর্যোগ মূল্যায়ন, বিপন্নতা মূল্যায়ন পূর্বাভাস, ঝুঁকির মূল্যায়ন, জনশিক্ষা, পরিকল্পনা গ্রহণ ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বিপর্যয়ের সময়ের ব্যবস্থাপনা : উদ্ধারকার্য, অস্থায়ী স্বাস্থ্যশিবির গঠন, ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করে তার বিশ্লেষণ, ত্রাণ সরবরাহ করা ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বিপর্যয় পরবর্তী ব্যবস্থাপনা : সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পুনর্গঠন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করা দরকার।
(iv) অভিগত গোলক : কোনো নমনীয় বস্তুর ক্রমান্বয়ে আবর্তনের ফলে তার উত্তর-দক্ষিণ দিক চেপে গিয়ে এবং পূর্ব-পশ্চিম দিকের স্ফীতি ঘটে যে গোলক সৃষ্টি করে, তাকে অভিগত গোলক বলে। পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকাকার। পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলেই পৃথিবীর মেরুদ্বয় কিছুটা চাপা ও নিরক্ষীয় অঞ্চল সামান্য স্ফীত হয়েছে।
অথবা, মহীখাত : সাগর, মহাসাগরের অন্তর্গত সুদীর্ঘ অবনমিত প্রাচীন ভূভাগ মহীখাত নামে পরিচিত।
প্রবক্তা : মহীখাত সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন ভূবিজ্ঞানী J. Hall, J. D. Dana প্রমুখ।
বৈশিষ্ট্য : মহীখাত ভূপৃষ্ঠের একটি সুদীর্ঘ, সংকীর্ণ অবনমিত জলভাগ। প্রতিটি মহীখাতই প্রাচীন ভূখণ্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত। মহীখাত সর্বদা পলি সঞ্চয়ের দ্বারা অবনমিত হয়। ভঙ্গিল পর্বতের উত্থানে মহীখাতের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
উদাহরণ : টেথিস মহীখাত।
(v) সম্পদ (Resource ) : Encyclopedia of the Social Science অনুযায়ী “সম্পদ হল পরিবেশের সেইসব বিষয় যা মানুষের চাহিদা এবং সামাজিক লক্ষ্য মেটায় বা মেটাতে সাহায্য করে।” অর্থাৎ, সম্পদ হল মানুষের নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের উপায় মাত্র এটি কোনোরকম জড় পদার্থ বা বস্তু নয়। বিখ্যাত জার্মান সম্পদ শাস্ত্রকার জিমারম্যানের দেওয়া সম্পদের সংজ্ঞাটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। তাঁর মতে, -“যা মানুষের ব্যক্তিগত অভাব বা সামাজিক চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে কোনো নির্দিষ্ট স্থান বা কালের গণ্ডির মধ্যে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে তাই সম্পদ।” উদাহরণ : কয়লা বা খনিজ তেলকে আমরা তখনই সম্পদ বলব যখন এরা আমাদের অভাব মেটাবে।
অথবা, সৌরশক্তির দুটি ব্যবহার : সৌর হিটার : সৌর হিটার যন্ত্রের মাধ্যমে শীতকালে এবং শীতপ্রধান অঞ্চলে কম খরচে ঘর গরম করা হয়। হাসপাতাল, কলকারখানা, বাড়িতে জল গরম করা হয়। সৌর ড্রায়ার : সৌর ড্রায়ার (Solar Dryer)-এর মাধ্যমে উৎপন্ন গরম বাতাসের সাহায্যে শস্যের আর্দ্রতা অপসারণ করে শস্য সংরক্ষণ, কাঠ শুকনো, মাছ শুষ্ককরণ, লবণ উৎপাদন করা হয়।
(vi) দার্জিলিং-এর দুটি শিল্প হল চা ও পর্যটন শিল্প।
অথবা, শ্বাসমূল : যে মূল লবণাক্ত নরম কাদামাটিতে অভিকর্ষের বিপরীতে উঠে এসে মূলে থাকা নিউম্যাটোফোর ছিদ্রের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলীয় অক্সিজেন গ্রহণ করে, তাকে শ্বাসমূল বলে। মূলত ম্যানগ্রোভ অরণ্যাঞ্চলে এ ধরনের শ্বাসমূল দেখা যায়।