Jhargram Banitirtha High School (HS)
বিভাগ-ক
1. (i) দ্য পার্সিয়ান লেটারস’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন (b) মন্তে।
(ii) বিপ্লবের পূর্বে ফরাসি সমাজ বিভক্ত ছিল সম্প্রদায়ে। (b) তিনটি
(iii) ‘টেনিস কোর্টের শপথ’ হয়েছিল ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের – (a) ২০ জুন।
(iv) টিলসিটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল (c) ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে।
(v) কোড নেপোলিয়নের মোট ধারা ছিল – (d) ২২৮৭টি
(vi) নেপোলিয়ন মারা যান (c) সেন্ট হেলেনা দ্বীপে।
(vii) চার্টিস্ট আন্দোলন হয়েছিল – (c) ইংল্যান্ডে।
(viii) যে সময়কাল ‘পরস্পরবিরোধী স্বার্থ সংঘাতের যুগ’ বলে পরিচিতি লাভ করেছে তা হল (b) ১৮১৫-৫০ – খ্রিস্টাব্দ।
(ix) ‘ন্যাশনাল গার্ড’ একটি – (b) জাতীয় রক্ষীবাহিনী।
(x) শিল্পবিপ্লব কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন (c) অগাস্তে ব্ল্যাঙ্কি।
(xi) লিভিংস্টোন আবিষ্কার করেন – (a) আফ্রিকা।
(xii) উড়ন্ত মাকু আবিষ্কার করেন (a) জন কে।
(xiii) প্রথম সাম্যবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় – (c) রাশিয়াতে।
(xiv) মুসোলিনির উপাধি ছিল – (d) ইল দ্যুচে।
(xv) স্পেনে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন (c) জেনারেল ফ্রাঙ্কো।
(xvi) ইটালি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে আক্রমণ করে – (c) আবিসিনিয়া।
(xvii) মিউনিখ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল – (c) ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে।
(xviii ) পার্ল হারবার অবস্থিত ছিল – (c) আমেরিকায়।
(xix) আন্তর্জাতিক বিচারালয় অবস্থিত (b) হেগ-এ।
(xx) WHO হল একটি (b) স্বাস্থ্য সংস্ा।
2 উপবিভাগ : A
বিভাগ-খ
(i) তুর্গো ছিলেন ফরাসি সম্রাট ষোড়শ লুই-এর অর্থমন্ত্রী।
(ii) ‘কনফেডারেশন অফ দ্য রাইন’ গঠন করেন নেপোলিয়ন।
(iii) লাল ফৌজ রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে বলা হয়।
(iv) কোফি আন্নান ছিলেন সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সপ্তম মহাসচিব।
উপবিভাগ : B
(i) সাঁকুলোৎ শব্দের অর্থ ধনী মানুষ। — মিথ্যা।
(ii) কার্বোনারি সমিতি গঠন করেন ম্যাৎসিনি। – মিথ্যা।
(iii) আফ্রিকা মহাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলা হয়। সত্য।
(iv) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। — সত্য ।
উপবিভাগ : C
(i) গ্রিসের একটি গুপ্ত সমিতির নাম হল হেটাইরিয়া ফিলিকে।
(ii) ভারতবর্ষ ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ।
(iii) অর্থনৈতিক মহামন্দা দেখা দেয় ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে।
(iv) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদে ধারার সংখ্যা হল ১১১টি।
উপবিভাগ : D
ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভের মিলকরণ :
(i) ডাইরেক্টরির শাসনের অবসান (d) ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ
(ii) ফেব্রুয়ারি বিপ্লব (c) ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ
(iii) ভাইমার প্রজাতন্ত্র (a) জার্মানি
(iv) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা (b) ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দ
উপবিভাগ : E
(i) ব্যাখ্যা – (a) অর্থসংকট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
(ii) ব্যাখ্যা – (b) প্রচলিত বিধিব্যবস্থা ও আইনকানুনগুলির মধ্যে সামঞ্জস্যবিধান করে ফ্রান্সে সুশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
(iii) ব্যাখ্যা – (c) ইংল্যান্ড পূর্বেই পৃথিবীর একটি বৃহৎ অংশে নিজের উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।
(iv) ব্যাখ্যা – (a) বিরোধী শক্তির দুর্বলতার সুযোগে হিটলার জার্মানদের আর্থিক স্থিতিশীলতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
বিভাগ-গ
(i) Jadavpur Vidyapith -এর 3. (ix) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) ফরাসি সমাজে বুর্জোয়া বলা হত তৃতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত মধ্যবিত্তদের। এরা ছিলেন বিদ্যা, বুদ্ধি ও ধনবলে বলীয়ান; কিন্তু বংশকৌলীন্যের অভাবে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশেষ মর্যাদা পেতেন না। এরা ছিলেন অধিকারহীন শ্রেণি। বুর্জোয়াদের মধ্যেও তিনটি স্তর ছিল উচ্চ বুর্জোয়া, ও মধ্য বুর্জোয়া ও নিম্ন বুর্জোয়া ।
(iii) নীলনদের যুদ্ধ ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে হয়েছিল।
(iv) নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এক অতি সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ফরাসি বিপ্লবের উদারতন্ত্রী আদর্শের ফলে তিনি ফ্রান্সের কনস্যুলেট তথা সম্রাট পদ লাভ করেছিলেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের ‘সাম্য’ নীতিকে গ্রহণ করে ‘কোড নেপোলিয়ন’-এর মাধ্যমে ফ্রান্সে আইনগত সমতা, সামাজিক সাম্য, সামন্ততান্ত্রিক বিশেষাধিকার লোপ এবং বৈদেশিক ক্ষেত্রে ইটালি, জার্মানি-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পুরাতনতন্ত্র ধ্বংস করে ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারার প্রসার ঘটান। তাই নেপোলিয়নকে ফরাসি বিপ্লবের সন্তান’ বলা হয়।
(v) Bankura Zilla School-এর 3. (v)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(vi) ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে স্যাডোয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে অস্ট্রিয়া পরাজিত হয়।
(vii) শিল্পবিপ্লবের পর অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে যে সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি হয় তার একদিকে অবস্থান করত ধনী, সুবিধাভোগী পুঁজিপতি শ্রেণি। তারা কলকারখানাগুলিতে মূলধন বিনিয়োগ করত এবং মুনাফা লাভ করত। স্বল্প মজুরিতে শ্রমিক শ্রেণিকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে তারা বাধ্য করত। এদেরই মালিক শ্রেণি বলা হয়।
(viii) বার্লিন কংগ্রেসের পর জার্মানির বিসমার্ক ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির সঙ্গে দ্বিশক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে ইটালিকে যুক্ত করে ত্রিশক্তি মৈত্রী গঠন করেন।
(ix) Balurghat High School -এর 6. (xi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(x) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন মিত্রশক্তি ও তার সহযোগীদের সঙ্গে জার্মানির ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
(xi) Bantra MSPC High School -এর 3. (xvi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(xii) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে ‘মিত্রশক্তি’ গঠিত হয়। (xiii) UNO দিবস পালন করা হয় ২৪ অক্টোবর এবং UNO- এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত।
(xiv) Balurghat High School-এর 6. (xii) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
বিভাগ-ঘ
4 (i) Falakata Girls’ High School (HS) -এর 4. (ii) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, Baita MN High School (HS)-এর 4. (i) -এর উত্তরটি দ্যাখো ।
(ii) Bankura Zilla School -এর 4. (ii) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, নেপোলিয়নের মস্কো (রাশিয়া) আক্রমণের ব্যর্থতা তাঁর সাম্রাজ্যের ভিত্তিমূলে প্রবল নাড়া দিয়েছিল। নেপোলিয়ন আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘সম্ভবত আমি মস্কো গিয়ে ভুল করেছিলাম।’
ফলাফল :
নেপোলিয়নের অপরাজেয় ভাবমূর্তিতে আঘাত: রাশিয়া অভিযানের ব্যর্থতায় নেপোলিয়নের অপরাজেয় ভাবমূর্তি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল।
নেপোলিয়নের কূটকৌশলের পরাজয় : নেপোলিয়ন প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী মস্কো পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। আসলে তিনি রাশিয়ার কূটকৌশলের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
নেপোলিয়ন বিরোধী ইউরোপীয় শক্তির উল্লাস : রাশিয়া অভিযান ব্যর্থ হওয়ার ফলে ফ্রান্স বিরোধী ইংল্যান্ড, প্রাশিয়া-সহ অনেক দেশ নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফ্রান্সেও তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। ও ফ্রান্সের অধীনস্থ দেশে প্রতিবাদ : নেপোলিয়নের যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতে হত সাধারণ মানুষকে। এজন্য তাদের উপর বাড়তি কর আরোপ করা হত। নেপোলিয়নের পরাজয় তাদের উৎসাহিত করেছিল। ফলে তারা শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়।
(iii) Burdwan Raj Collegiate School -এর 4. (v)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, জুলাই বিপ্লবের কারণ : ইউরোপে মেটারনিখ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ফ্রান্সে প্রথম বলিষ্ঠ প্রতিবাদ হল ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের জুলাই বিপ্লব। ভিয়েনা সম্মেলনে গৃহীত ন্যায্য অধিকার নীতির মাধ্যমে বুরবোঁ বংশীয় অষ্টাদশ লুই সিংহাসন লাভ করে ফ্রান্সে উদারপন্থী শাসন শুরু করেন। কিন্তু শাসনকালের শেষদিকে তিনি স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে ফ্রান্সে বৈপ্লবিক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ভাই ডিউক-অব-আর্টয়েস দশম চার্লস নাম নিয়ে সিংহাসনে বসেন (১৮২৪ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি ছিলেন উগ্র রাজতন্ত্রের সমর্থক। দশম চার্লসের প্রতিক্রিয়াশীল কিছু শাসননীতির জন্য জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়, যথা–
পুরাতনতন্ত্র ফিরিয়ে আনা : দশম চার্লসের লক্ষ্য ছিল অষ্টাদশ লুই-এর মধ্যপন্থা নীতি নাকচ করে অভিজাত ও যাজকদের সাহায্যে পুরাতনতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। এজন্য তিনি ফরাসি জনমতের বিরোধিতা, বিরোধী দলগুলির প্রতিক্রিয়া সবকিছুকেই অগ্রাহ্য করেন।
ধর্মীয় পদক্ষেপ: বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি গির্জার অধীনে আনেন। শাসন চালাতে শুরু করেন যাজকদের প্রত্যক্ষ সাহায্যে। যাজকদের শাস্তি প্রদান বন্ধ করেন। গির্জার সমালোচনা করা বন্ধ করেন।
ক্ষতিপূরণ : তিনি ভিলিলের সাহায্যে এমিগ্রি বা দেশত্যাগী অভিজাতদের (যাদের সম্পত্তি বিপ্লবের সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়) এক বিলিয়ন ফ্রাঁ ক্ষতিপূরণ দানের ব্যবস্থা করেন।
জুলাই অর্ডিন্যান্স : সবশেষে প্রতিক্রিয়াশীল মন্ত্রী পলিগন্যাকের পরামর্শে (২৫ জুলাই, ১৮৩০) এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সনদের ১৪ নং ধারা অনুযায়ী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেন, আইনসভা ভঙ্গ করেন ও বুর্জোয়া শ্রেণিকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেন।
দশম চার্লসের এই জুলাই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে জুলাই বিপ্লবের সূত্রপাত হয়। শেষপর্যন্ত ৩০ জুলাই দশম চার্লস তাঁর পৌত্র ডিউক-অফ-বোর্ডের অনুকূলে পদত্যাগ করলে বিপ্লবীরা অলিয়েন্স বংশীয় লুই ফিলিপকে সিংহাসনে বসান।
(iv) সমাজতন্ত্রবাদের উদ্ভব হয়েছে আধুনিক যুগের শিল্পবিপ্লবজনিত কারণে সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যা থেকে।
মালিকশ্রেণি শিল্পবিপ্লবের ফলে শিল্পপতি ও পুঁজিপতিদের হাতে প্রচুর সম্পদ জমা হয়। শিল্পপতিরা কলকারখানায় উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করলেও আরও বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য শ্রমিকদের কম মজুরি দেয় ও নানাভাবে শোষণ করে। এভাবে সমাজে ধনবান পুঁজিপতি শ্রেণির সৃষ্টি হয়।
শ্রমিকশ্রেণি শিল্পবিপ্লবের ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকশ্রেণি শোষণের শিকার হয়। যাদের শ্রমে শিল্পবিপ্লব ঘটেছে এবং পুঁজিপতি শ্রেণি প্রচুর সম্পদের অধিকারী হয়েছে সেই শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয় এবং প্রবল দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হয়।
শিল্পবিপ্লবের ফলে পুঁজিপতি বা মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে ওঠে। সমাজতন্ত্রবাদ হল সেই মালিকশ্রেণির বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির প্রতিবাদ।
অথবা, Bantra MSPC High School-এর 4. (vi)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(v) হারবার্ট ক্লার্ক হুভার (Herbert Clark Hoover) ছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি (১৯২৯-১৯৩৩ খ্রি)। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন তিনি ঘোষণা করেন যে, ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই থেকে এক বছরের জন্য বিভিন্ন দেশ পরস্পরের ঋণশোধ করা স্থগিত রাখবে। এই ঘোষণা ‘হুভার স্থগিতকরণ’ বা ‘হুভার মোরাটোরিয়াম’ (Hoover Moratorium) নামে পরিচিত।
হুভার মোরাটোরিয়ামের পটভূমি : ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ভার্সাই সন্ধিতে মিত্রপক্ষ জার্মানির ওপর বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপিয়ে দেয়। জার্মানি যাতে মিত্রশক্তির ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে পারে সেজন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিকে ডয়েজ (Dawes) ও ইয়ং (Young) পরিকল্পনা অনুসারে ঋণ দিত। জার্মানি সেই অর্থ দিয়ে মিত্রশক্তির পাওনা মেটাত। আবার মিত্রশক্তিভুক্ত দেশগুলি সেই অর্থ দিয়ে যুদ্ধকালে আমেরিকার কাছে নেওয়া ঋণের টাকা শোধ করত। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের অর্থনৈতিক মহামন্দা সৃষ্টি হলে আমেরিকার পক্ষে জার্মানিকে ঋণ দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এদিকে জার্মানিও আমেরিকার সাহায্য না পাওয়ার জন্য মিত্রশক্তির ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে পারছিল না। এর ফলে আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়। এই সংকট মোচনের জন্য আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হুভার (Hoover) তাঁর ঋণশোধ স্থগিতকরণের নীতি ঘোষণা করেন।
হুভার মোরাটোরিয়ামের ফলে আমেরিকা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়নি। ১৯৩৩-এর নির্বাচনে হুভারের রিপাবলিকান দল পরাজিত হয় এবং ডেমোক্র্যাটিক দলের ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট (Franklin Roosevelt) রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
অথবা, Falakata Girls’ High School (HS) -এর 4. (v) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(vi) Barrackpore Govt High School -এর 4. (vi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
অথবা, Baita MN High School -এর 4. (xi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
বিভাগ- ঙ
5 (i) Bantra MSPC High School-এর 5. (i) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) Baita MN High School (HS)-এর 5. (ii) -এর প্রথম অংশের উত্তরটি দ্যাখো ।
(iii) হিটলারের ভূমিকা : নাৎসি নেতা হিটলারের মেইন ক্যাম্ফ (Mein Kampf) গ্রন্থে হিটলার স্বয়ং Pan Germanism-এর ধারণার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন। হিটলার চেয়েছিলেন, ব্রিটেনের সহযোগিতায় জার্মানিকে এক বিশ্বশক্তিতে পরিণত করতে এবং সোভিয়েত রাশিয়া দখলের মাধ্যমে বসবাসের উপযোগী ভূখণ্ডের সমস্যার সমাধান করতে। হিটলারের কথায় যুদ্ধ ঘটত অনিবার্যভাবেই। হয়তো তাকে কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া যেত, কিন্তু এড়ানো যেত না। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের Hossbach Report-এ যুদ্ধের অনিবার্যতার উল্লেখ রয়েছে।
ভার্সাই সন্ধি অমান্য : ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে হিটলার জার্মানির ক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি ভার্সাই সন্ধির বিভিন্ন ধারা অমান্য করতে শুরু করেন। যেমন– ক্ষতিপূরণ দান বন্ধ করেন, সার অঞ্চলের সংযুক্তিকরণে গণভোটকে প্রহসনে পরিণত করেন, বেসামরিক রাইন অঞ্চলে সৈন্যসমাবেশ করেন, জার্মানিতে ‘জেনারেল স্টাফ’ পদ পুনরায় চালু করেন, প্রথমে ৩৬, পরে ৬৫ ডিভিশন’ পদাতিক এবং বিমান ও নৌবহর গড়ে তোলেন, বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষা চালু করেন, জার্মানির হারানো অঞ্চলগুলির পুনরুদ্ধারের দাবি করেন প্রভৃতি।
আগ্রাসী নীতি : স্পেন : সমকালীন ইউরোপে মুসোলিনি ও হিটলার একনায়করূপ ধারণ করেছিলেন। এসময় স্পেনে রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। স্পেনের বিদ্রোহী সেনাপতি ফ্রাঙ্কোকে হিটলার সামরিক সাহায্য দেন ও সফল হন। অস্ট্রিয়া : প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির মিত্র ছিল অস্ট্রিয়া। যুদ্ধ শেষে জার্মানির মতো অস্ট্রিয়াও ‘সেন্ট জার্মেইন সন্ধি’ দ্বারা শান্তি লাভ করে। কিন্তু হিটলার অস্ট্রিয়ার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে অস্থিরতার সৃষ্টি করেন। তারপর বলপূর্বক অস্ট্রিয়া দখল করেন। তিনি এর নাম দেন ‘আনব্লুজ’। চেকোশ্লোভাকিয়া : জার্মানির প্রতিবেশী নবগঠিত চেকোশ্লোভাকিয়া রাষ্ট্রের সুদেতান অঞ্চল জার্মান অধ্যুষিত ছিল। হিটলার এই অঞ্চলটি জার্মানির সঙ্গে সংযুক্তির দাবি করেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ‘মিউনিখ চুক্তি’ দ্বারা ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইটালি হিটলারের দাবি মেনে সুদেতান অঞ্চল জার্মানিকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অল্পকালের মধ্যে হিটলার সমগ্র চেকোশ্লোভাকিয়া দখল করেন। মেমেল বন্দর দখল : হিটলার জার্মানির প্রতিবেশী লিথুয়ানিয়ার মেমেল বন্দর দখল করেন (১৯৩৯ খ্রি)। পোল্যান্ড : এরপর হিটলার পোল্যান্ডের ডানজিগ বন্দর দাবি করেন। জার্মানির সঙ্গে ডানজিগের সংযোগপথ পোলিশ করিডরের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন (১ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ খ্রি)।
ঐতিহাসিকদের মতামত : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সংঘটন হিটলারের দ্বারাই ত্বরান্বিত হয়েছিল কিনা তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্কের শেষ নেই। ই এইচ কার (E H Carr), জি হার্ডি (G Herdy) প্রমুখ বলেন, জার্মানির সাম্রাজ্যবিস্তার নীতি ও উগ্র জাতীয়তাবাদের পরিণতি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। মরিস বুমন্ট (Maurice Baumont) বলেন যে, হিটলার কর্তৃক যুদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে হিটলারের যুদ্ধ রূপে অভিহিত করা অধিক যুক্তিযুক্ত। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এ জে পি টেলর (A JP Taylor)-এর মতে এই বিশ্বযুদ্ধ মোটেই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। হিটলার মোটেও যুদ্ধ চাননি। তিনি স্নায়ুযুদ্ধের মাধ্যমে তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছোতে চেয়েছিলেন।