Kamarpukur RK Mission MP School
বিভাগ-ক
1 (i) ‘দ্য পার্সিয়ান লেটারস’ গ্রন্থটি লেখেন (c) মন্তেস্কু
(ii) বাধ্যতামূলক শ্রমদানকে বলা হত – (a) করভি।
(iii) নেপোলিয়ন টিলসিটের সন্ধি স্বাক্ষর করেন – (b) ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে।
(iv) নেপোলিয়ন বোনাপার্টের জীবনের শেষ যুদ্ধ ছিল – (d) ওয়াটারলুর যুদ্ধ।
(v) ‘রক্ত ও লৌহ’ নীতির প্রবক্তা ছিলেন – (c) বিসমার্ক।
(vi) যাঁর রাজত্বকালকে ‘জুলাই রাজতন্ত্র বলা হয় তিনি হলেন (c) লুই ফিলিপ ।
(vii) ‘স্পিনিং জেনি’ আবিষ্কার করেন – (d) জেমস হারগ্রিভস।
(viii) চিনে ‘মুক্তদ্বার নীতি’ ঘোষণা করেছিল (d) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
(ix) ফ্যাসিস্ট দল গড়ে ওঠে – (a) ইটালিতে।
(x) হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের – (d) ১ সেপ্টেম্বর।
(xi) পার্ল হারবারের মার্কিন নৌঘাঁটি আক্রমণ করে – (c) জাপান।
(xii) জার্মানি জাতিসংঘের সদস্যপদ ত্যাগ করে (b) ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে।
(xiii) জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয় ছিল – (b) জেনেভায়।
(xiv) প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হয় – (a) হিরোশিমাতে।
(xv) জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারালয় অবস্থিত (d) হেগ-এ।
(xvi) জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব হলেন (a) ট্রিগভি লি।
(xvii) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘গণতন্ত্রের অস্ত্রাগার’-এ পরিণত হয়েছিল – (c) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ।
(xviii) যে গ্রন্থটি ‘নাৎসি দলের বাইবেল’ নামে পরিচিত (c) মেইন ক্যাম্ফ ।
(xix) এপ্রিল থিসিস ঘোষণা করেন – (a) লেনিন ।
(xx) সুয়েজ খালের খনন কার্য শুরু হয় – (c) ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে।
বিভাগ- খ
2 উপবিভাগ : A
(i) সেরাজেভো হত্যাকাণ্ড হয়েছিল ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন ।
(ii) জেনারেল ফ্রাঙ্কো ছিলেন স্পেনের গৃহযুদ্ধের প্রধান নায়ক।
(iii) ‘ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি’ নীতি গ্রহণ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
(iv) ‘ILO’-এর পুরো নাম International Labour Organisation |
উপবিভাগ : B
(i) অভিজাত বিদ্রোহের মাধ্যমে ফরাসি বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল। – ঠিক।
(ii) কার্বোনারি ছিল একটি গুপ্ত সমিতি। – ঠিক ।
(iii) আমেরিকা জাতিসংঘের সদস্যপদ গ্রহণ করেনি। – ঠিক।
(iv) জার্মানি, ইটালি ও জাপানকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল অক্ষশক্তি। – ঠিক।
উপবিভাগ : C
ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভের মিলকরণ :
(i) কার্ল মার্কস (d) জার্মান দার্শনিক
(ii) হিটলার (a) ফ্যুয়েরার
(iii) দালাদিয়ের (b) ফরাসি প্রধানমন্ত্রী
(iv) উড্রো উইলসন (c) চোদ্দো দফা শর্ত
উপবিভাগ : D
(i) স্পেনের গৃহযুদ্ধ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল।
(ii) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদর দপ্তর রয়েছে নিউ ইয়র্ক শহরে।
(iii) জাপানের হিরোশিমা শহরে ফেলা পারমাণবিক বোমাটির নাম লিটল বয়।
(iv) ‘ইয়ং ইটালি’ দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ম্যাৎসিনি।
উপবিভাগ : E
(i) ব্যাখ্যা (c) ফ্রান্সে শিল্প সহায়ক উপাদানের অভাব ও রাজনৈতিক অস্থিরতা শিল্পায়নে বাধার সৃষ্টি করে।
(ii) ব্যাখ্যা – (c) নেপোলিয়ন ইংল্যান্ডকে যুদ্ধে হারাতে না পেরে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করতে চেয়েছিলেন।
(iii) ব্যাখ্যা (b) জার্মানি ও ইটালিকে ব্যবহার করে পূর্ব ইউরোপে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল।
(iv) ব্যাখ্যা – (a) জাতিসংঘের নিজস্ব সেনাবাহিনী ছিল না।
বিভাগ-গ
3 (i) Balurghat High School-এর 6. (i) -এর উত্তরটি দ্যাখো ।
(ii) ফ্রান্সের সংবিধান সভা দেশের চার্চ ব্যবস্থার পুনর্গঠনের জন্য যে আইন প্রণয়ন করেছিল তা ‘সিভিল কনস্টিটিউশন অব দ্য ক্লার্জি’ বা ‘ধর্মযাজকদের সংবিধান’ (১৭৯১ খ্রিস্টাব্দ) নামে পরিচিত। এই আইন দ্বারা সংবিধান সভা ফ্রান্সের গির্জাগুলির ভূসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ও গির্জার ওপর থেকে পোপের সমস্ত কর্তৃত্বের অবসান ঘটায়। এরপর থেকে ধর্মযাজকরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতেন এবং রাষ্ট্র তাঁদেরকে বেতনভুক্ত কর্মচারীতে পরিণত করে।
(iii) Bantra MSPC High School -এর 3. (vi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) Jadavpur Vidyapith -এর 3. (xiv) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(v) Chakdaha Bapuji Balika Vidvamandir -এর 3. (vi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(vi) Falakata Girls’ High School (HS) -এর 3. (v) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(vii) ভারতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন’ বলা হত। কারণ–
ভারত ছিল ব্রিটেনের উপনিবেশগুলির মধ্যে প্রধান। ভারতের অর্থনীতি ব্রিটেনের স্বার্থেই পরিচালিত হত।
ভারতকে ব্রিটিশ পণ্য বিক্রির উন্মুক্ত বাজার হিসেবে ব্যবহার করা হত।
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ারে তৈরি সুতির কাপড়ের ৮৫% কাপড় বিক্রি হত ভারতে।
(viii) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের ফলে বলশেভিক দলের নেতৃত্বে সর্বহারার একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। এক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন বলশেভিক দলের নেতা লেনিন। তিনিই ছিলেন রুশ বিপ্লবের প্রধান সংগঠক, প্রাণপুরুষ এবং পরিচালক। লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক দল ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ৭ নভেম্বর বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এককথায় ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের রুশ বিপ্লবের নেতৃত্ব ছিল এই বলশেভিক দলের হাতে। তাই এই বিপ্লবকে বলশেভিক বিপ্লব বলা হয় ।
(ix) Burdwan Raj Collegiate School -এর 3. (vi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(x) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্নপত্র -এর 3. (xi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(xi) Bantra MSPC High School -এর 3. (xvi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(xii) হিটলারের রাশিয়া অভিযানের সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন বারবারোসা’। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুন হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি বাহিনী বিশাল সেনাবাহিনী এবং শক্তিশালী স্থল ও বিমানবাহিনীর সাহায্যে তিনদিক থেকে রাশিয়াকে সাঁড়াশি আক্রমণ করে। এই অভিযানই অপারেশন বারবারোসা নামে পরিচিত।
(xiii) United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation বা UNESCO বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধনের উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা একটি সংস্থা। এই উদ্দেশ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পাঠ্যপুস্তক রচনা, বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও বিভিন্ন ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানের সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(xiv) Balurghat High School -এর 6. (xii) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(xv) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হল–
আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবী থেকে যুদ্ধের সম্ভাবনা দূর করা।
সমস্ত জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও সমানাধিকার স্বীকার করে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপন করা।
(xvi) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিজয়ী মিত্রশক্তিবর্গ সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমতা ও আদর্শের নিরিখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। এই দুই বিপরীত মেরুর শক্তিজোটের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা, বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয় তা ঠান্ডা লড়াই নামে পরিচিত।
বিভাগ-ঘ
4 (i) Barrackpore Govt High School -এর 5. (i) -এর দ্বিতীয় অংশের উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) Balurghat High School -এর 7. (v) অথনা-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) Chakdaha Bapuji Balika Vidyamandir -এর 4. (iv) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iv) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের রুশ বিপ্লব আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। রুশ বিপ্লব ছিল জনগণের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রকাশ। ঐতিহাসিক লিপসন বলেছেন যে, রুশ বিপ্লবের (১৯১৭ খ্রি) কারণ রাশিয়ার ইতিহাসের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। এই বিপ্লবের জন্য রাশিয়ার অর্থনৈতিক পটভূমি যথেষ্ট দায়ী ছিল।
অর্থনৈতিক কারণ : ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রুশ বিপ্লবের পূর্বে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শোচনীয়।
সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা : রাশিয়ায় ভূমিদাস মুক্তি আইন পাস হলেও সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় ছিল। চার্চ ও জমিদারদের জমি অধিগ্রহণ করা হলেও ‘কুলাক’ (জোতদার) শ্রেণির আবির্ভাব ঘটে। আগের মতোই আধা-সামন্ততান্ত্রিক সম্পর্ক ও শোষণ বজায় থাকে সমাজে। ফসলের অর্ধেক অংশ জমির মালিক আদায় করত।
প্রযুক্তির অভাব : সমসাময়িক পশ্চিম ইউরোপে কৃষি বিপ্লব ঘটলেও রাশিয়ায় তা ঘটেনি। রাশিয়ায় তখনও পুরোনো দিনের মতো লাঙল-বলদের ব্যবহার ছিল। সেচব্যবস্থাও গড়ে ওঠেনি। ফলে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল অত্যন্ত কম।
বিদেশি মূলধননির্ভর শিল্প : শিল্পের ক্ষেত্রেও রাশিয়া অনেক পিছিয়ে ছিল। রাশিয়ায় যা শিল্প হয়েছিল তাতেও বিদেশি পুঁজির আধিপত্য ছিল। রাশিয়ায় মূলধন বিনিয়োগ করেছিল মূলত তৈল শিল্পে ব্রিটেন, কয়লা ও ধাতু শিল্পে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে জার্মানি। রাশিয়ার শিল্পায়নের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ায় ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ হয়েছিল ৫,৪০০ মিলিয়ন রুবল।
মধ্যবিত্তশ্রেণির অভাব : রাশিয়ায় ব্রিটেন বা ফ্রান্সের মতো ধনী বুর্জোয়া বা মধ্যবিত্ত বুর্জোয়া শ্রেণির উত্থান ঘটেনি। মুষ্টিমেয় ধনী অভিজাতদের হাতে সম্পদ সঞ্চিত থাকলেও তা ব্যাবসাবাণিজ্যে মূলধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি।
সমুদ্রপথের অভাব : রাশিয়ায় সমুদ্রপথে গমনাগমনের সুযোগ ছিল না। ফলে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের যথেষ্ট বিকাশ ঘটেনি।
(v) রুশ জারদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন এবং সামন্ততান্ত্রিক শোষণের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ায় চরমপন্থী ভাবধারার জন্ম হয়। বহুসংখ্যক গুপ্ত সমিতি গড়ে ওঠে। এই পথ ও পদ্ধতি সফল না হলে নারদনিক আন্দোলন গড়ে ওঠে।
নারদনিক আন্দোলন : সার্ফ প্রথার বিলুপ্তি ঘটলেও রাশিয়ার কৃষক অভ্যুত্থান দৈনন্দিন ব্যাপারে পরিণত হয়। রাশিয়ার উদারপন্থী শিক্ষিত সম্প্রদায় এই ভূমিহীন কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। তাই নিহিলিস্ট আন্দোলন’ (Nihilist Movement) কেবল দার্শনিক মতবাদের মধ্যেই আবদ্ধ থাকেনি, ক্রমশ তা হয়ে উঠেছিল ‘জনতাবাদী আন্দোলন’ (Populist Movement)। রুশ ভাষায় ‘নারদ’ (Narod) শব্দ-এর অর্থ হল জনতা বা জনগণ। তা থেকেই এই আন্দোলনকে বলা হয় ‘নারদনিক আন্দোলন’ (Narodnik Movement) ।
কর্মসূচি : নারদনিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ প্রায় ১ হাজার জন শিক্ষিত যুবক-যুবতী গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকদের বিপ্লবী আদর্শের সঙ্গে পরিচিত করাতে থাকে। তারা জনগণকে বোঝায় যে গ্রামের কৃষকরা এবং শহরের শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ না হলে শোষণের অবসান ঘটবে না। তবে অচিরেই আন্দোলনকারীরা সন্ত্রাসের পথ গ্রহণ করে।
আন্দোলনের ব্যর্থতা : নারদনিক আন্দোলন নানা কারণে ব্যর্থ হয়েছিল– কৃষকরা নারদনিকদের আবেদনে সাড়া দেয়নি। সরকারি দমননীতির চাপে আন্দোলন তার গতি হারায় ।
গুরুত্ব : ব্যর্থতা সত্ত্বেও এই আন্দোলনের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কারণ এই আন্দোলনই পরবর্তীকালে বৃহত্তর রুশ বিপ্লবের মানসিক ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছিল। এর ফলেই জনগণ বিপ্লবী আদর্শের সঙ্গে পরিচিত হয়।
(vi) ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
শত্রু আক্রমণে বিধ্বস্ত অর্থনীতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে মিত্রশক্তি জয়লাভ করলেও এই যুদ্ধ মিত্রশক্তিভুক্ত দেশগুলির অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর প্রবল আঘাত হানে। জার্মানির বিমান আক্রমণ ও বোমাবর্ষণের ফলে ব্রিটেনের বড়ো বড়ো শিল্পশহর, বন্দর, ডক, রেলস্টেশন, কলকারখানা, সেনানিবাস এবং অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশের সরকারকে যুদ্ধের মধ্যেই পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিতে হয়। বিভিন্ন দেশের যুদ্ধজাহাজ ও বেসামরিক জাহাজ ধ্বংস হয়, পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যাহত হয়। কৃষিজমিগুলি অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকার ফলে খাদ্যসংকট দেখা দেয়।
আর্থিক পুনর্বাসন : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমগ্র পৃথিবীতে কমবেশি আর্থিক প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলির মৃতপ্রায় অর্থনীতিকে সচল করার উদ্দেশ্যে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে আমেরিকার ওয়াশিংটন শহরে ‘জাতিপুঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন’ বা ‘UNRRA’ (United Nations Relief and Rehabilitation Administration) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সাহায্যের ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশের বাস্তুহারাদের পুনর্বাসন, কৃষি ও শিল্পের পুনরুজ্জীবন, পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি প্রভৃতি সম্ভব হয়।
মার্শাল পরিকল্পনা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অর্থনৈতিক সংকট মোচনের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব জর্জ সি মার্শাল ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা’ নামে এক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন যা মার্শাল পরিকল্পনা নামে খ্যাত। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমেরিকা চার বছরের জন্য ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন খাতে ১২০০ ডলার অর্থ মঞ্জুর করে।
(vii) Bantra MSPC High School-এর 4. (vi)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(viii) Bankura Zilla School-এর 4. (vi)-এর উত্তরটি দ্যাখো ।
বিভাগ-ঙ
5 (i) Baita MN High School (HS)-এর 4. (v)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
(ii) Chakdaha Bapuji Balika Vidyamandir -এর 4. (vi) -এর উত্তরটি দ্যাখো।
(iii) Falakata Girls’ High School (HS) -এর 4. (viii)-এর উত্তরটি দ্যাখো।
ভাইমার প্রজাতন্ত্র : প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় এবং জার্মানির সম্রাট কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়ম হল্যান্ডে পালিয়ে যান। ফলে জার্মানিতে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং সমাজতান্ত্রিক নেতা ফ্রেডরিখ ইবার্টের (Friedrich Ebert) নেতৃত্বে 5. প্রজাতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। জার্মানির ভাইমার শহরে এই প্রজাতান্ত্রিক সরকারের প্রথম অধিবেশন বসেছিল বলে, একে ‘ভাইমার প্রজাতন্ত্র’ (Weimar Republic) বলা হয়। এই সরকারের চ্যান্সেলার নিযুক্ত হন ইবার্ট। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে গণতান্ত্রিক জাতীয় পরিষদ (National Assembly) নির্বাচিত হয়। এই পরিষদ সুইটজারল্যান্ডের অনুকরণে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করে।
কার্যকলাপ : এই সরকারের প্রথম কাজ ছিল মিত্রশক্তির সঙ্গে সন্ধির শর্ত নিয়ে আলোচনা করা। ভার্সাই সন্ধির বিভিন্ন সংশোধনী দাবি করে ব্যর্থ হলে এই সরকার বাধ্য হয়ে ভার্সাই সন্ধি স্বাক্ষর করে (২৮ জুন, ১৯১৯ খ্রি)। এই সন্ধির বিরুদ্ধে জার্মানিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও নতুন সরকার শর্তপালনে সচেষ্ট হয়। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলায়ও এই সরকার তৎপর হয়।
(iii) Balurghat High School -এর ৪. (i)-এর উত্তরটি দ্যাখো ।