সামাজিক বনসৃজন (Social Forestry)

সামাজিক বনসৃজন

সামাজিক বনসৃজন (Social Forestry)
সামাজিক বনসৃজন (Social Forestry)

সংজ্ঞা

নির্দিষ্ট অরণ্য সীমানার বাইরে, পতিত বা অব্যবহৃত জমিতে গাছ লাগানোর মাধ্যমে বন সৃষ্টির উদ্যোগকে সামাজিক বনসৃজন (Social Forestry) বলে। সমাজবিজ্ঞানী শাহ-র মতে, “গ্রামীণ জনসাধারণের চাহিদা পূরণে যে-কোনো সংস্থার মাধ্যমে যে-কোনো জমিতে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।” এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ, অর্থনীতি এবং মানুষ – উপকৃত হয়ে থাকে।

উদ্দেশ্যসমূহ

  • সামাজিক বনসৃজনের বহুমুখী উদ্দেশ্য গুলি হল–
  • পরিত্যক্ত, অব্যবহৃত পতিত জমিকে ব্যবহার করা।
  • জ্বালানির কাঠ, ফল-ফুল, পশুখাদ্যের জোগান দেওয়া, শিল্পের কাঠ সরবরাহ করা।
  • নির্দিষ্ট অরণ্য সীমারেখার বাইরে অরণ্যভূমি সৃষ্টি করা।
  • স্থানীয় পিছিয়ে পড়া মানুষের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করা, আমোদ-প্রমোদ ও গ্রামের মানুষের বিবিধ চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে বনভূমি সৃষ্টি করা।
  • জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্রকে বজায় রাখা।
  • পরিবেশকে নির্মল রাখা, দূষণমুক্ত করে রাখা।

উপযুক্ত স্থান

নদী, খাল, সড়কপথ, রেলপথের দু’ধার, লাইব্রেরি বরাবর জমি। প্রান্তিক কৃষিজমি। ভূমিক্ষয় অধ্যুষিত খোয়াই অঞ্চল। খেলার মাঠ ও বিদ্যালয়, কবরস্থান, শ্মশান, ধর্মীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্মুক্ত স্থান প্রভৃতি।

উপযুক্ত উদ্ভিদসমূহ

মহুয়া, কুসুম, ইউক্যালিপটাস, নারিকেল, আমলতাস, কৃয়চূড়া, রাধাচূড়া, শিরীষ প্রভৃতি।

দৃষ্টান্ত

1994 সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের আরাবারি গ্রাম সামাজিক বনসৃজনে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়ে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ‘পলগেটি’ পুরস্কার পেয়েছে 1994 সালে।

Leave a Comment