সবুজ বিপ্লবের সুফল ও কুফলগুলি লেখো
সবুজ বিপ্লবের সুফল ও কুফলগুলি লেখো |
সবুজ বিপ্লবের সুফল ও কুফল
সংজ্ঞা
ভারতবর্ষে 1960-এর দশকে কৃষিকার্যে উচ্চফলনশীল বীজ, কীটনাশক, রাসায়নিক সার, যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয় তা সবুজ বিপ্লব নামে পরিচিত। ভারতবর্ষে এই বিপ্লবের জনক ছিলেন ড. এম এস স্বামীনাথন (Dr. MS Swaminathan)। পরিবেশের ওপর এই সবুজ বিপ্লবের কিছু ইতিবাচক ও কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রভাবগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল-
সবুজ বিপ্লবের সুফল
খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি: সবুজ বিপ্লবের ফলে খাদ্যশস্যের উৎপাদনে বিশেষত গম, ধান, ভুট্টা উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা: বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে এবং ভারত খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়েছে।
শিল্পোন্নতি: সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন শিল্পের উন্নতি ঘটেছে। •
হেক্টর প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি : উচ্চফলনশীল বীজ, জলসেচের সুবিধা ও কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহারের ফলে হেক্টর প্রতি উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।
জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন: জমি থেকে উৎপাদন বাড়ায় কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটে।
কর্মসংস্থানে সুযোগ বৃদ্ধি: সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষির উন্নতি হওয়ায় কৃষিতে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবুজ বিপ্লবের কুফল
অর্থনৈতিক বৈষম্য: পাঞ্জাব হরিয়ানার উচ্চ আয়ের চাষিদের সঙ্গে ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রান্তের চাষিদের অর্থনৈতিক বৈষম্য গঠিত হয়েছে।
পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব : মাটিতে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির লবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, মৃত্তিকা ক্ষয় ত্বরান্বিত হয়েছে। অতিরিক্ত জলসেচের ফলে ভূগর্ভস্থ জলতল নেমে গেছে, জীববৈচিত্র্য হ্রাস পেয়েছে।
মৃত্তিকার লবণতা বৃদ্ধি: অতিরিক্ত জলসেচের কারণে মাটিতে লবণতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি: রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জল ও মৃত্তিকা দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস: কৃষিতে যান্ত্রিকরণের ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা