চিত্তরঞ্জনে বৃহত্তম রেলইঞ্জিন কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো

চিত্তরঞ্জনে বৃহত্তম রেলইঞ্জিন কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো।
চিত্তরঞ্জনে বৃহত্তম রেলইঞ্জিন কারখানা গড়ে ওঠার কারণগুলি আলোচনা করো।
ভারতের বৃহত্তম রেলইঞ্জিন কারখানা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার চিত্তরঞ্জনে গড়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণগুলি হল–

ইস্পাতের সহজলভ্যতা : 

রেলইঞ্জিন শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ইস্পাত। দুর্গাপুর, কুলটি-বার্নপুর ও জামশেদপুরে লৌহ-ইস্পাত শিল্পকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় ইস্পাত পাওয়ার সুবিধা এখানে রেলইঞ্জিন শিল্পের বিকাশে সাহায্য করেছে। 

সুলভ কয়লা :

রেলইঞ্জিন কারখানায় ইস্পাত গলানোর জন্য প্রচুর কয়লার প্রয়োজন। রানিগঞ্জ, আসানসোল, ধানবাদ ও ঝরিয়া কয়লাখনি থেকে পর্যাপ্ত কয়লা পাওয়ার সুবিধা এখানে রেলইঞ্জিন শিল্প গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। 

সুলভ যন্ত্রাংশ: 

রেলইঞ্জিন তৈরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিকটবর্তী হুগলি-হাওড়া শিল্পাঞ্চল ও দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল থেকে সহজেই পাওয়া যায়। 

বিদ্যুতের প্রাচুর্য: 

দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনার জলবিদ্যুৎ ও বক্রেশ্বর, দুর্গাপুর প্রভৃতি কেন্দ্রের তাপবিদ্যুৎ রেলইঞ্জিন শিল্পের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের চাহিদা মেটায়। 

জলের সহজলভ্যতা : 

দামোদর ও খরকাই নদী থেকে পর্যাপ্ত জল পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। দক্ষ শ্রমিক: পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে প্রশিক্ষিত ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শ্রমিক সুলভে পাওয়া যায়। 

বন্দরের নৈকট্য: 

নিকটবর্তী কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি ও রেলইঞ্জিন রপ্তানির সুবিধা রয়েছে।

Leave a Comment