কাঁচামালের প্রকৃতি অনুসারে শিল্পের শ্রেণিবিভাগ
কাঁচামালের প্রকৃতি অনুসারে শিল্পের শ্রেণিবিভাগ করো |
কাঁচামালের প্রকৃতি অনুসারে শিল্পকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
কৃষিভিত্তিক শিল্প
বিভিন্ন কৃষিজাত দ্রব্যসমূহকে ব্যবহার করে যে-সমস্ত শিল্প গড়ে ওঠে, তাকে কৃষিভিত্তিক শিল্প বলে। যেমন- পাট শিল্প, চা শিল্প, চিনি শিল্প প্রভৃতি।
প্রাণীভিত্তিক শিল্প
বিভিন্ন প্রাণীজ দ্রব্য (যেমন- বিভিন্ন পশুর মাংস, চামড়া, লোম, দুগ্ধ প্রভৃতি)-কে ব্যবহার করে যে-সমস্ত শিল্প গড়ে ওঠে, তাকে প্রাণীভিত্তিক শিল্প বলে। যেমন- দুগ্ধ শিল্প, চর্মশিল্প, পশম শিল্প প্রভৃতি।
বনজ সম্পদ ভিত্তিক শিল্প
বন থেকে প্রাপ্ত কাঠ, মধু, মোম, ফল, ফুল, ভেষজ দ্রব্যকে ব্যবহার করে যে-সমস্ত শিল্প গড়ে তোলা হয়, তাকে বনজ সম্পদ ভিত্তিক শিল্প বলা হয়। যেমন- কাষ্ঠ শিল্প, কাগজ শিল্প, দেশলাই শিল্প প্রভৃতি।
খনিজভিত্তিক শিল্প
বিভিন্ন খনিজসম্পদকে (লোহা, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, কয়লা প্রভৃতি) ব্যবহার করে যে-সমস্ত শিল্প গড়ে তোলা হয়, তাকে খনিজভিত্তিক শিল্প বলে। যেমন- লৌহ-ইস্পাত শিল্প, তাম্রশিল্প, অ্যালুমিনিয়াম শিল্প প্রভৃতি।
আরও পড়ুন – শৈশবের স্মৃতি রচনা