গ্রিক পণ্ডিত এরাটোস্থেনিস কীভাবে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন

গ্রিক পণ্ডিত এরাটোস্থেনিস কীভাবে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন
গ্রিক পণ্ডিত এরাটোস্থেনিস কীভাবে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন
খ্রিস্টের জন্মের প্রায় 200 বছর আগে গ্রিক পণ্ডিত এরাটোস্থেনিস পৃথিবীর পরিধি মাপার চেষ্টা করেন। তিনি একই দ্রাঘিমায় অবস্থিত মিশরের দুটি শহর সিয়েন (23½°.) ও আলেকজান্দ্রিয়ার (30½°.) উপর 21 জুন (কর্কটসংক্রান্তি) তারিখে সূর্যরশ্মির পতনকোণের পার্থক্য লক্ষ করে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন। 231½° উত্তর অক্ষাংশে (কর্কটক্রান্তিরেখা) অবস্থিত সিয়েন শহরের উপর 21 জুন বেলা 12টার সময় সূর্যরশ্মি ঠিক লম্বভাবে (90°) পতিত হয় এবং ওই একই সময়ে উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত আলেকজান্দ্রিয়া শহরে সূর্যরশ্মির পতন কোণ হয় 7°12’। এই 1 কৌণিক দূরত্ব বৃত্তের (360° ÷ 7°12′ = 50) বা ০ অংশ। সিয়েন ও আলেকজান্দ্রিয়ার মধ্যে দূরত্ব 5000 স্টেডিয়া। (1 স্টেডিয়া = 185 মিটার)। সুতরাং, এরাটোস্থেনিসের পরিমাপ অনুযায়ী, পৃথিবীর পরিধি হল, (360° ÷ 7°12′) × 5000 স্টেডিয়া = (50 × 5000) স্টেডিয়া= 250000 স্টেডিয়া বা 46250 কিমি। বর্তমানে বিজ্ঞানভিত্তিক হিসাবনিকাশে দেখা গেছে পৃথিবীর পরিধি প্রায় 40000 কিমি। যা, এরাটোস্থেনিস নির্ণীত পরিধির চেয়ে 46250 – 40000) কিমি = 6250 কিমি কম। সম্ভবত সিয়েন ও আলেকজান্দ্রিয়া শহর দুটির মধ্যে দূরত্ব সঠিকভাবে নির্ণীত হয়নি। তথাপি এই গণনার গুরুত্ব কিছুমাত্র কম নয়। পরবর্তীকালে এর ফলে পৃথিবীর সঠিক পরিধি নির্ণয় সহজতর হয়েছিল।

Leave a Comment