জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণ কি ছিল
|
ভূমিকা
স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনের যুগে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয়। বাংলা ও বাংলার বাইরে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের অধীনে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণ
জাতীয় শিক্ষা পরিষদ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার কারণগুলি হল-
চাকরির ক্ষেত্রে অসুবিধা: চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ডিগ্রির কোনো মূল্য ছিল না। ফলে সমাজের বেশিরভাগ মানুষ এতে আকৃষ্ট হয়নি।
সরকারি দমননীতি: জাতীয় শিক্ষা পরিষদ পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে সরকার ভালো চোখে দেখেনি। ফলে সরকারের বিরোধিতা ও দমননীতি এর ব্যর্থতার অন্যতম কারণ ছিল।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলেন। তিনি এখানে উৎকৃষ্ট শিক্ষা ও গবেষণার ব্যবস্থা করেন। ফলে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের আকর্ষণ কমে যায়।
কংগ্রেসের চরমপন্থী বিরোধ: কংগ্রেসের চরমপন্থী নেতারা জাতীয় শিক্ষা পরিষদকে স্বীকার করেননি। তাদের বিরোধিতা জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ব্যর্থতার জন্য দায়ী ছিল।
উপসংহার
তা ছাড়া জাতীয় শিক্ষা পরিষদ অর্থাভাবে ও সমাজের সব শ্রেণির মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থনের অভাবে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।